আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ডাক্তার গোলাম জাকারিয়া তপন ও তার শ্যালিকা করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় লকডাউন করা হয়েছে শেফা ক্লিনিক। ফলে এদের মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকাতেই লকডাউন করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার শেফা ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার গোলাম জাকারিয়া তপন ও তার শ্যালিকাসহ নতুন করে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। সে কারণে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ শেফা ক্লিনিক লকডাউন করেন। এতে আলমডাঙ্গার সবচে বড় ও মানসম্পন্ন ক্লিনিকটি লকডাউন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অনেকেই পড়েছেন ভীষণ বিপাকে। আলমডাঙ্গা শহরে প্রায় ১০-১২টি ক্লিনিক থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকের চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রশ্ন রয়েছে। অপেক্ষাকৃত ভালো ক্লিনিকগুলোর বেশিরভাগই করোনাকালীন শুধু সিজার আর অ্যাক্সিডেন্টের রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। শুধুমাত্র শেফা ক্লিনিকেই সব ধরণের রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছিলো। কিন্তু শেফা ক্লিনিক লকডাউন হওয়ায় অনেকেই শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ঘুরছেন সুচিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায়।
আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরের মুসলিমা খাতুন নামের এক মহিলা পেটে ব্যথা নিয়ে গতকাল শেফা ক্লিনিকে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ক্লিনিকটি লকডাউন করা হয়েছে। তিনি শেফা ক্লিনিক থেকে ফিরে শহরের কয়েকটি ক্লিনিকে গিয়েও চিকিৎসাসেবা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
শেফা ক্লিনিক মালিকের ছেলে ডাক্তার ইমরান জানান, সঙ্গত কারণেই শেফা ক্লিনিক লকডাউন করা হয়েছে। এতে আমরা অসন্তুষ্ট হয়নি। লকডাউন না করলেই বরং প্রশাসন সমালোচনার মুখোমুখি হতো। কিন্তু আমাদের ক্লিনিক লকডাউনের ফলে সাধারণ রোগীদের অসুবিধা হয়েছে। কোথাও চিকিৎসাসেবা না পেয়ে এখানেই উপস্থিত হচ্ছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ