আলমডাঙ্গার মাদারহুদায় শিশুকন্যার লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার : কানের দুল খুলে নিয়ে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ পরিবারের
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মাদারহুদায় এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর কানের দুল না থাকায় হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা পরিবারের লোকজনের। তাদের অভিযোগ, কানের দুল খুলে নিয়ে শিশুকন্যাকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত মরিয়ম খাতুন একই গ্রামের স্কুলপাড়ার খাইরুল ইসলামের মেয়ে ও মাদারহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
খাইরুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে একই গ্রামের মনিরুলের মেয়ে স্থানীয় ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া খাতুন (১৪) বাড়ি থেকে মরিয়মকে ডেকে নিয়ে যায়। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুরে না ফেরায় বিকেলে তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। এ সময় গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিনের ছেলে আলিমুদ্দিন পুকুরের পাশে আমবাগানে মরিয়ম তার সহপাঠী সুমাইয়া, রায়মাসহ ৪-৫ জনের সাথে খেলা করছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা। পরে পুকুর তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় মরিয়মের মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, আমার মেয়ের কানে সোনার দুল ছিল। কিন্তু তার মরদেহ উদ্ধারের পর তা আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সন্দেহ হলে তার সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করা হয়। একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে মুন্সিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া খাতুন আমার মেয়ে মরিয়মকে পুকুরের পাশে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানায় তার সহপাঠীরা। আমাদের ধারণা, কেউ কানের দুল খুলে নিয়ে মরিয়মকে পানিতে ফেলে দিয়েছে। পরে বিষয়টি অবহিত করা হলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাতেই চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কল) আনিসুজ্জামান লালন, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, ওসি তদন্ত তুহিনউজ্জামান সেকেন্ড অফিসার সঞ্জিত কুমারসহ এসআই খসরু আলম, মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিঠুন খান, টুআইসি সাহাব উদ্দিন লাশ উদ্ধার পূর্বক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। আগামীকাল মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হবে। ওই ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবার। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।