আলমডাঙ্গা ব্যুরো/আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মহেশপুরে আওয়ামী লীগের কর্মীসমাবেশে চাচা-ভাতিজা দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক পক্ষ হচ্ছে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ বাবলু। অন্যপক্ষ হচ্ছে জেলা পরিষদের সদস্য ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি নাহিদ হাসনাত সোহাগ। বাবলু চেয়ারম্যান ও সোহাগ চাচা-ভাতিজা। তারা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বেলা ৪টার দিকে মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনাসভা করেন। সভায় তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় বলে দাবি করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। এসময় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় চাচা পক্ষে মহেশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে লিটন আলী বাদী হয়ে রাতে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, পূর্বশত্রুতার জেরে একই গ্রামের সাহিবুল, আরিফুল ও নাজমুল তাকে পিটিয়েছে।
অন্যদিকে, ভাতিজা পক্ষে মহেশপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার গোলাম রসুলের ছেলে সাহিবুল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আসামি করা হয়েছে একই গ্রামের লিটন, সাইদুল, দেলোয়ার, শামসুল ও সিরাজুলকে।
এ বিষয়ে ইউপি সাবেক সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, গতকাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের চেয়ারম্যানের কর্মী সমাবেশ হয়েছিলো। সেই কর্মীসমাবেশে চেয়ারম্যান উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় আমাদের গ্রুপের লোকজন বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিদ্রোহী গ্রুপের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিদ্রোহী গ্রুপের লোকজন আমাদের গ্রুপের লোকজনকে মারপিট করে।
চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু বলেন, মহেশপুর গ্রামে আমার শুভাকাক্সক্ষী ও কর্মীদের নিয়ে আলোচনাসভা ও মতবিনিময়ে করেছিলাম। এসময় আমার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কোনো মারামারী-হাতাহাতি হয়নি। আমরা শান্ত সৃষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরে এসেছি। তারপর আমার কর্মীদের উপরে কিছু নামধারী আওয়ামী লীগের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ