আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাস্তার মাটি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ : দুপক্ষের মারামারি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ মেম্বারের কান্ড। দোয়ারপাড়ার সড়কের গাইড ওয়াল নির্মাণ প্রজেক্টের মাটি এক্সকেভেটর দিয়ে কেটে নিজের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর সাথে প্যানেল চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজনের মারামারির অভিযোগ তুলে দুপক্ষেই থানায় মামলা করতে হাজির হয়েছে। গ্রামবাসী প্যানেল চেয়ারম্যান কর্তৃক রাস্তার গাইড ওয়ালের জন্য কাটা মাটি রাস্তায় না দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন বলেও দাবি করেছেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার দোয়ারপাড়া-ফরিদপুর সড়কের গাইড ওয়াল নির্মাণ প্রজেক্টের কাজ চলছে। সড়কের পাশের পুকুর থেকে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কেটে সড়কের ভেঙে যাওয়া পাড় বাঁধার কাজ। সড়কটির এক পাশের গাইড ওয়ালের খোল মাটি দিয়ে ভরাট কাজ শেষ হলেও অন্য পাশে হয়নি। গ্রামবাসী অভিযোগ তুলেছে ওই পাশের মাটি কেটে ভেঙে যাওয়া সড়কের পাশ না বেধে প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ মেম্বার মাটি নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। রাতের আঁধারে সড়কের মাটি নিজের বাড়ি সরিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসী এমন অভিযোগ তুলে ফুঁসে ওঠে। প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মেহেরাজ মেম্বার, তার চাচা ও পরিবারের লোকজন একই গ্রামের (দোয়ারপাড়া) মৃত খেদ আলী মন্ডলের ২ ছেলে বকুল, আকুল, বকুলের ছেলে শাওন ও ডাব্লুর ছেলে শাওনকে মারপিট করেছে। এ ব্যাপারে মামলা করতে তারা গতকাল রাতে থানায় যান।
অপরদিকে, প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ মেম্বর জানান, আমার পাঁচটি প্রজেক্টের কাজ চলছে। অন্য আরেকটা প্রজেক্টে মাটি লাগবে তাই বাড়ির সামনে ওই মাটি স্তুপ করে রেখেছি। নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়নি। তারা আমার চাচা ও বোনদের মারধর করেছে।
মেহেরাজ মেম্বারের পক্ষের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিও মামলা করতে একই সময় থানায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের দাবি, গ্রামবাসীর কয়েকজন তাদের ওপর হামলা করেছেন। তারা গ্রামের কাউকে মারধর করেনি। তারা অপরাধ করলে প্রশাসন দেখবে। গ্রামের লোকজন কেন মারধর করবে? এ ঘটনায় দোয়ারপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More