আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মায়ের ওপর বোমা হামলাকারী আলমডাঙ্গার বেলগাছী গ্রামের সেই বোমা কালামকে আবারও গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। নিজ মায়ের ওপর বোমা হামলার পর থেকে তিনি বোমা কালাম নামে এলাকায় পরিচিত। ৯ জুলাই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলগাছী গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ, বোমা হামলা, মাদকসহ ৬-৭টি মামলা রয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার বেলগাছী গ্রামের সাহেব আলী মালিথার ছেলে বোমা কালামকে (৪০) আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের উত্তরা ফিলিং স্টেশনের নিকটবর্তী ছিনতাইয়ের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ৩-৪জন মিলে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে হাত, পা বেঁধে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলসহ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পূর্বের গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তীতে বোমা কালামকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। পরে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়। মাদক মামলায় কয়েক মাস জেলে থাকার পর তিনি জামিনে হাজতমুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরে। তারপর থেকে কিছুদিন চুয়াডাঙ্গা শহরে ও পরে বেলগাছিতেই অবস্থান করে আসছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার নিজ ঘরের বিছানার নিচ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে।
২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ায় নৌকার প্রতীকের মোটরসাইকেল মিছিলে ককটেল হামলা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছিলো বোমা কালাম। ওই ঘটনার কয়েকদিন পর বোমা কালামকে বিজিবি গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের কিছুদিন পর বাড়ি এসে শুরু করে মাদক ব্যবসা।
কয়েক বছর পূর্বে আটক কালাম তার নিজের মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা ছুড়ে মারলে বোমাটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশেই বিষ্ফোরিত হয়। সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান তার মা। এঘটনার পর থেকে এলাকায় তিনি বোমা কালাম হিসেবে চিহ্নিত। ২০১২ ও ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের হয়।