আলমডাঙ্গার খাসকররায় কিশোরীর সাথে মধ্যবয়সীর বিয়ে : আত্মহত্যার অপচেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামে ১৫ বছরের নাবালিকা তামান্না খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী কায়েতপাড়া গ্রামের মধ্যবয়সী লাভলুর (৪০) জোরপূর্বক বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার নানার বিরুদ্ধে। স্বামী পছন্দ না হওয়ায় ক্ষোভে-মান অভিমানে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেন ওই কিশোরী নববধূ। তামান্না খাতুন (১৫) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার আবু সায়েম শাহীনের মেয়ে ও আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তামান্নাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত নানা ঠান্ডুর বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী।
তামান্না খাতুনের বাবা আবু সায়েম শাহীন বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমার মেয়ের বয়স যখন আড়াই মাস তখনই আমার আর আমার স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেই সূত্র ধরে আমাদের মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে আমার মেয়ে তার নানার বাড়িতে থেকে বড় হয়ে ওঠে। আমার আর স্বপ্না খাতুনের বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনায় আদালতে মামলা হলে আদালতের রায়ে মেয়ের খরচের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা ভরণপোষণ ও দিতে হয়। শাহীন অভিযোগ করে আরও বলেন, মেয়েকে দেখতে গেলে মেয়ের নানাবাড়ির লোকজন মেয়ের সাথে আমাকে দেখা করতে দেয় না। গত ২০দিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের জামাত আলীর ছেলে লাভলুর সাথে আমার মেয়ে তামান্না খাতুনের জোরপূর্বক বিয়ে দেন নানা ঠা-ু জোয়ার্দ্দার। তামান্না খাতুনের বয়স ১৬ হওয়ার পরও কাবিননামায় ১৮ বছর দেখিয়ে ২০ দিন আগে আমাকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে দিয়েছে ঠানডু জোয়ার্দ্দার। কাবিননামায় তার বাবার নামের স্থলে তার মামা সাজেদুর রহমান সবুজের নাম লেখা হয়েছে।
এদিকে, তামান্নার অসম্মতি ছাড়ায় বিয়ে দেয়ায় ২০দিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তামান্না খাতুন ২০টি ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা টের পেলে তামান্নাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানে তার পাকস্থলি ওয়াশ করে হাসাপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অপর দিকে, দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে ৪০ বছরের ছেলের বিয়ের ঘটনায় এলাকায় নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এলাকার অনেকে বলেছে, সুন্দরী তামান্নাকে বিয়ে করার লাভলুর কাছ থেকে মোটাঅঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন ঠা-ু জোয়ার্দ্দার। ঠান্ডুর বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জেনেছি তামান্না খাতুন ২০টি ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেছেন। তার পাকস্থলি ওয়াশ করা হয়েছে। তবে তামান্না খাতুনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রনি আলম নূরের কাছে এলাকাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভয় হয়নি।
টাকার লোভে নানা নামক ঐ শয়তানকে ধরে ডিম থেরাপি দেওয়া হোক এবং যে বিয়ে করেছে তাকেও জেল হাজতে দেওয়া হোক সাথে ডিম থেরাপি 😄😄😄