আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে রুহুল আমিন
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সোনার বাংলা বানাতে চাই
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন বলেন- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানাতে চাই। কাউকে চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে টাকা নিয়ে ঘুরতে হবে না। চাকরির জন্য হালের জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করতে হবে না। বাংলাদেশের মানুষের হাতে কাজ দিয়ে তাদের বেকারত্ব¡ ঘুচাতে চাই। কাউকে আর চুরি করতে হবে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এই দেশকে সোনার বাংলা বানাতে চেয়েছিল, সবুজ বাংলা বানাতে চেয়েছিল, তারা নতুন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিল। এ সব তৈরি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা ১৫ বছর দেশকে লুটপাট করে বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলে পালিয়ে গেছে। সামনের দিন ভালো ভোট হবে। দিনের ভোট আর কেউ রাতে দিতে পারবে না। এই জন্য ভোটের জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালিদাসপুর ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে কুষ্টিয়া বাসস্ট্যন্ডে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। কর্মী সম্মেলনে কালিদাসপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আসাদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের জেলা সহকারী সেক্রেটারি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল। তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতিবাজ শাসককে আর দেখতে চাই না, আমদের দুজন মন্ত্রী ৫ বছরে ৩টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের কোনো দুর্নীতি খুঁজে না পয়ে ৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলায় সাজিয়ে তাদের হত্যা করেছে। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আলতাফ হোসাইন, জেলা যুব বিভাগের সম্পাদক নূর মোহাম্মদ হোসাইন টিপু, জেলা জামায়াতের আইন বিষয়ক সস্পাদক দারুস সালাম, জামায়াতের আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির প্রভাষক শফিউল আলম বকুল ও পৌর জামায়াতের আমির মাহের আলী। ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মামুন রেজা, পৌর সেক্রেটারি মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রচার সম্পাদক আমান উদ্দিন, ডাউকি ইউনিয়ন আমীন সজিবুর রহমান, জামজামী ইউনিয়ন আমীর ফজলুল হক ও কুমারী ইউনিয়ন আমির আবু বকর সিদ্দিকসহ ইউনিয়ন ও সকল ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলবৃন্দ। কর্মী সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় কালিদাসপুর জামায়াতের ইউনিয়ন অফিস উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা, উপজেলা, পৌর জামায়াত ও তার অঙ্গসংগঠনের সকল দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.