জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ার আলোচিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লতিফ ট্রেডার্স ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে পিতার বন্ধু আহাদ আলী মণ্ডলকে (৬০)। এ ঘটনায় পিতা-পুত্রদের ও ছেলেরা-বাবাকে দোষারোপ করছেন। বিরোধের জের ধরে পুলিশ পিতা আব্দুল লতিফ ও পুত্র মোস্তফা আমজাদ ওরফে সাইফুলকে থানায় নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে বিরোধ নিস্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। পিতা-পুত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে জীবননগর উপজেলার শীর্ষ এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুরের কবলে পড়েছে। গতকাল রোববার ও শনিবার জুড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ার মৃত নফর আলী বিশ^াসের ছেলে আব্দুল লতিফ একজন আলোচিত ব্যবসায়ী। বর্তমানে ইটভাটা, ভূট্টার ব্যবসা ও পরিবহন খাতই তার প্রধান ব্যবসা। দুটি ইটভাটাসহ শতাধিক ট্রাক রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের। পারিবারিক ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আব্দুল লতিফের সাথে তার তিন ছেলে মোস্তফা আমজাদ ওরফে সাইফুল, মোস্তফা শাকিল ওরফে সামাউল ও মোস্তফা তাজোয়ারের চরম মতবিরোধ চলছে। গত বছর বিরোধের একপর্যায়ে আব্দুল লতিফের বন্ধু দলিল লেখক আহাদ আলী ম-ল বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। এ সময় বড় ছেলে মোস্তফা আমজাদ সাইফুলকে পিতার সাথে বেয়াদবি করার কারণে তাকে তিরস্কার করাসহ শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় আহাদ আলীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন ছেলেরা। পিতার সাথে গত শনিবার থেকে ছেলেদের বিরোধ আবারও চরম পর্যায়ে পৌঁছাই। এসময় আহাদ আলী ম-ল আবারও ছুটে এলে ছেলেরা তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে আহত করাসহ তার নাক ভেঙে দেয়। আহত আহাদ আলীকে চুয়াডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। ছেলেদের দাবি লতিফ মিয়া কিছু যুবককে নিয়ে এসে এ ভাঙচুর চালিয়েছে। অপরদিকে পিতা আব্দুল লতিফ বলছেন, ছেলেরা এ কাজ করেছে। পিতা-পুত্রদের এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে শেষ পর্যন্ত পুলিশ উভয়কে ডেকে জীবননগর থানায় নিয়েছে। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখাকালে পিতা আব্দুল লতিফসহ পুত্ররা থানায় অবস্থান করছিলেন।
এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়িয়ার একজন জনপ্রতিনিধি জানান, ঘটনা সঠিক। পিতা আব্দুল লতিফ যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক আবার ছেলেদের অভিযোগও মিথ্যা না। পিতা-পুত্ররা উভয়ই এ ঘটনার সাথে জড়িত। পারিবারিক ও ব্যবসায়ীক মতবিরোধ থেকে পিতা-পুত্রদের মধ্যে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পিতা-পুত্রদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আলোচনায় বসার প্রক্রিয়া চলছে।