আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ২২ গ্রামের মণ্ডল প্রধানদের খানা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ম-লী নিলেন আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিন কমান্ডারের মেজো ছেলে জাহিদ হাসান রেন্টু। গত ১৭ জানুয়ারি ২২ গ্রামের প্রধান ম-লরা আনুষ্ঠানিকভাবে রেন্টুকে পত্রধারী ম-লী প্রধান ও ২২ গ্রামের মণ্ডলদের আজীবন সভাপতি ঘোষণা করে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে স্বীকৃতি দেন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিন কমান্ডার ২২ গ্রামের ম-লদের সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার মেজো ছেলে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহিদ হাসান রেন্টু দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২২ গ্রামের মণ্ডল প্রধানদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ম-ল প্রধান মিজানুর রহমান, জামাল উদ্দিন, ডা. শুকুর আলী, আব্দুল খালেক, আব্দুর রশিদ কালু, আব্দুল লতিফ তোতা, আনিসুর রহমান মাস্টার, শেখ ইদ্রিস আলী মাস্টার, মতিয়ার রহমান, কলম মাস্টার, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, তোফাজ্জেল হোসেন, রেজাউল করীম, মনিরদ্দিন মেম্বার। ম-ল আব্দুল রশিদের উপস্থাপনায় প্রায় ২শ’ মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। গত ১৬ জানুয়ারি আলমডাঙ্গা পাঁচলিয়া গ্রামের বীর সন্তান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিন কমান্ডার, তার স্ত্রী মরহুমা জাহানারা বেগম ও বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু মেম্বারের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিন কমান্ডারের ৫ ছেলে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহিদ হাসান রেন্টু, সাবেক কাউন্সিলর জেহন আলী সেন্টু, জহির রায়হান, কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন ও ছোট ছেলে আব্দুর জব্বার লিপু মিলে পিতা-মাতা ও বড় ভাইয়ের কুলখানির আয়োজন করেন।
উল্লেখ্য: যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিন কমান্ডার ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১ বছর যেতে না যেতেই মরহুম জামাল উদ্দিন কমান্ডারের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু মেম্বার ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর স্টোকজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী ও বড় ছেলের মৃত্যুর ২১ মাসের মাথায় ২০২০ সালের ১১ আগস্ট মরহুম জামাল উদ্দিন কামান্ডারের স্ত্রী জাহানারা বেগম স্টোকজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।