গাংনী প্রতিনিধি: পরিবেশ অধিদফতরসহ কোনো কর্তৃপক্ষের সনদপত্র নেই। রাত দিন কাট পুড়িয়ে চলে পরিবেশ দূষণ। ইট ও মাটি বহনের রাস্তায় ধুলি দূষণে অতিষ্ট এলাকাবাসী। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। এতো কিছু দেখেও না দেখার ভান করে ছিলো প্রশাসন। তবে এলাকার মানুষের দুর্বিসহ কষ্ট অবশেষে নজর কেড়েছে। অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুুপুর পর্যন্ত গাংনীর বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসান। আর অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদফতর কুষ্টিয়া জোনের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। তাছাড়া জনবহুল এলাকায় ইটভাটা প্রস্তুত ও আবাদী জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কারণে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে তমা ব্রিকস থেকে ৭ লাখ টাকা, জোয়ার্দ্দার ব্রিকস থেকে ৬ লাখ টাকা, সমতা ব্রিকস থেকে ৮ লাখ টাকা, রুপসা ব্রিকস থেকে ৭ লাখ টাকা, থ্রী স্টার ব্রিকস থেকে ৪ লাখ, বস ব্রিকস থেকে ৪ লাখ, বেস্ট ব্রিকস থেকে ৫ লাখ, একতা ব্রিকস থেকে ৬ লাখ, ভিশন ব্রিকস থেকে ৭ লাখ ও জনতা ব্রিকস থেকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে সহায়তা করেন র্যাব-৬ গাংনী ডিএডি শফিকুল ইসলাম, ফায়ার সাভিসের স্টেশন মাস্টার ইসাহাক আলীসহ পুলিশের একটি টিম। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান জানান, অধিকাংশ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় এসকল ভাটায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইট প্রস্তুত ইটভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়। ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয় বেশ কয়েকটি ভাটা।
পরিবেশ অধিদফতর কুষ্টিয়া জোনের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, অভিযান সূত্রে জানা গেছে, জেলার বেশিরভাগ ইটভাটা পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইট পোড়ানো ও বিক্রি কার্যক্রম চলছে। ইট পোড়ানোর মাধ্যমে সৃষ্ঠি করা হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। অপরদিকে ইটভাটাগুলোতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সনদপত্রও নেই। অবৈধ সব ইটভাটাতে এ অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।