স্টাফ রিপোর্টার: অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আব্দুস সাত্তারের জালিয়াতি করে নেয়া জামিন বাতিল করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আসামি আব্দুস সাত্তার এর আগে তার সাজার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে নেন। ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাত্তারকে ১৭ বছরের কারাদ- দেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আন্তঃজেলার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুস সাত্তারকে (৩৭) গ্রেফতার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খানের নেতৃত্বে একদল চৌকস অফিসার বিশেষ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে তাকে আটক করে। ওই সময় তার দেহ তল্লাশি করে একটি ওয়ান স্যুটারগান ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আব্দুস সাত্তার আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে।
এক সময়ে আলমডাঙ্গা-হরিণাকুন্ডু উপজেলার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক আইনে ৭টি মামলা ও হরিণাকুন্ডু থানায় ১টি হত্যা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ২০১৪ সালে ১টি ডাকাতি মামলা, ২০১২ সালে ২টি বিস্ফোরক মামলা ও ১টি দস্যুতা মামলা, ২০১১ সালে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলা, ২০১০ সালে গড়চাপড়ার মুক্তারকে অপহরণপূর্বক চাঁদাবাজি মামলাসহ ৭টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ২০১২ সালে খাসকররার হেলালকে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে হরিণাকুন্ডুর নারায়কান্দি বাওড়ের ধারে খুন করা হয়। হরিণাকুন্ডু থানায় দায়েরকৃত ওই হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী ছিলো সাত্তার।