অতি সন্নিকটে ভালোবাসা দিবস আর পহেলা ফাল্গুন
মেহেরপুরে ফুল ব্যবসায়ী ও চাষিদের প্রস্তুতি : উত্তপ্ত ফুলের বাজার
মেহেরপুর অফিস: অতি সন্নিকটে ভালোবাসা দিবস আর পহেলা ফাল্গুন। আর তাই বসন্তকে বরণ করে নিতে যেমন চাই রঙিন ফুল, তেমনি ভালোবাসা দিবসের এই দিনে প্রিয় মানুষটিকে অন্তত একটি লাল গোলাপ দিতে চায় সবাই। এজন্য মেহেরপুরে আগেভাগেই ফুল ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন। তাই এখন থেকেই অনেক ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছে ফুলের অর্ডার দিয়ে রাখছেন চাহিদা মতো। বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা/কারা যে ডাকিল পিছে, বসন্ত এসে গেছে… গানটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক মেলা ভার। ফাগুন এলেই স্থানে স্থানে বেজে উঠে গানটি। ছড়িয়ে দেয় ফাগুনের বাড়তি আমেজ। ফাগুনের প্রথম দিনে বাসন্তি সাজে সেজে তরুণীরা ঘুরে বেড়ায়। খোপায় গোলাপ গুঁজে না দিলে যেন বাসন্তি সাজ পূর্ণতা পায় না। আবার অনেকে হাতে, গলায়, পুরো মাথা সাজিয়ে তুলেন ফুলের মালায়। এবার পহেলা ফাগুনের সাথে যুক্ত হয়েছে ভালোবাসা দিবস। পহেলা ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস মিলে একাকার প্রেমিক মন। কেউ সাজবেন বাসন্তি সাজে আবার কেউ বা একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে কড়া নাড়বেন প্রেমিক মনে। আর তাইতো ফুল ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন রংয়ের বিভিন্ন জাতের ফুল নিয়ে। ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসের যুগল বন্ধনে এবার উত্তাপ ছড়াবে ফুলের বাজারে তেমনটাই মনে হচ্ছে।
জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন ফুলঘরগুলো ঘুরে জানা গেছে, ‘প্রতিটি দেশি গোলাপের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জারবেরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গ্লাডিওলাস ২৫-৩০ টাকা ও রজনীগন্ধা ১০-১৫ টাকা, জুঁই-বেলী মালা ৫০ টাকা, গাঁদা ফুলের মালা ৭০-৮০ টাকা, লিলি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, থাই-চায়না ও ইন্ডিয়ান গোলাপ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, অর্কিড ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছে।
মেহেরপুর ইত্যাদী ফুল ঘরের ফুল ব্যবসায়ী টুটুল জানান, এবার ভালোবাসা দিবসের সাথে ফাল্গুন যুক্ত হয়েছে। তাই ফুলের চাহিদা থাকবে বেশি। সেই জন্য সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ফুলের দাম এবার বেশী। যেহেতু চাষিদের কাছ থেকে বেশী দামে ফুল কিনতে হচ্ছে।
এদিকে ফুল চাষিরাও প্রস্তুত বিক্রির। তারা মনে করছে এবার যেহেতু একই দিনে দুটি দিবস সেখানে এবার ভালো বেচা-কেনা ভালো হবে এবং লাভবান হবে এমন আশা তাদের। সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ফুলচাষি সাইফুল ইসলাম জানান, তার ৭ বিঘা জমিতে দেশীয় বিভন্ন ফুলের আবাদ করেছে। এখান থেকে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা তার। তবে ফুল ব্যবসায়ী ও চাষিরা খুশি থাকলেও ক্রেতারা খুশি হতে পারছেন না। ক্রেতারা বলছেন, বছরের অন্যান্য সময় প্রতিটি গোলাপ ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও সেই ফুলের দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি ফুলের মূল্য বেড়েছে অনেকগুন। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ফুলের মূল্য।