গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর গাড়াডোব ও অগ্নিকাণ্ডে দু’টি পরিবারের নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামালসহ অন্ততঃ ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার রাতে গাড়াডোব গ্রামে এবং ভোরের দিকে অলিনগর গ্রামে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দু’টিতে দ্রুত সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
গাড়াডোব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আমানুল হক জানান, সোমবার রাতে খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বাড়ির সবাই। হঠাৎ প্রতিবেশীরা রান্নাঘরে আগুন দেখতে পেয়ে জানালে তা নেভানোর চেষ্টা করা হয়। সেই সাথে বামন্দী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। মুহূর্তে রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ঘরে। এতে নগদ ৩ লাখ টাকা, আসবাবপত্র, ধান গমসহ অন্ততঃ ৫ লাখ টাকার মালামাল ভষ্মিভুত হয়। এদিকে গরুর মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে অলিনগর গ্রামের পিয়ারুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়।
পিয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে দেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে ওই আগুন গোয়াল ঘরে লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাড়িতে। এতে গোয়াল ঘরে থাকা একটি গরু ও দুটি ছাগলের মৃত্যু হয়। সাথে বাড়িতে রাখা নগদ টাকাসহ বাড়ির সমস্থ মালামাল পুড়ে ভষ্মিভুত হয়। এতে অন্ততঃ ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
গাংনী উপজেলার বামন্দী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার ইসাহক আলী জানান, গাড়াডোব গ্রামের আমানুলের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ও ওলিনগর গ্রামের পিয়ারুলের বাড়িতে মশার কয়েল থেকে আগুনের সুত্রপাত। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দুটি স্থানে অন্ততঃ ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দু’টির খোঁজ নিয়ে তাৎক্ষণিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আমানুল হক লিখিত আবেদন করেছেন। পিয়ারুলের পরিবারকে দরখাস্ত করার জন্য বলা হয়েছে। সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে আমার সাধ্যমতো তাদেরকে সহযোগিতা করবো।