৫ লাখ টাকার সরকারি গাছ বিক্রি করা চক্রের গা-ঢাকা
আলমডাঙ্গায় রাজস্ব খাতের টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থানা থেকে মুক্ত
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: রাজস্ব খাতের ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থানা থেকে মুক্ত হয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন জিকে ক্যানেল পাড়ের ৫ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে দেয়া চক্রটি। আলমডাঙ্গার পারকুলা থেকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা সীমান্ত অবধি জিকে ক্যানেলের কয়েক হাজার গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়া হলেও নির্ধারিত সরকারি রাজস্ব জমা দেয়া হয়নি।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকুলা থেকে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সীমান্ত অবধি জিকে ক্যানেলের ধারে লাগানো কয়েক হাজার গাছ এলাকার একটি চক্র ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পাইকপাড়া গ্রামের আবেদ আলী ওই গাছ পারকুলা গ্রামের কোরবান আলী, পারকুলা গ্রামের আব্দুল হান্নান ও ব্যাংকার ইমদাদের নিকট থেকে ক্রয় করেছেন। কিনে বিপাকে পড়েছেন গাছ ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি ঝড়ের পরে গাছ ব্যবসায়ী গাছ কাটা শুরু করলে ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ তাতে বাঁধ সাধেন। অবৈধভাবে গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশের সহযোগিতা নেন। গত ২৮ মে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গাছখোর চক্রের হোতা আব্দুল হান্নান, ব্যাংকার এমদাদ ও গাছ ব্যবসায়ী আবেদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় চক্রের আরেক হোতা কুরবান পালিয়ে যায়। পরে সরকারি রাজস্বে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা দেয়ার শর্তে মুচলেকায় স্বাক্ষর করে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। ১ দিনের ভেতর ওই টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার শর্ত থাকলেও গাছখোর চক্রটি আজোবধি সে টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেয়নি। বরং গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান ও ব্যাংকার ইমদাদ আলী অভিন্ন ভাষায় জানান, আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আশাদুল হক মিকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় থানা পুলিশ ও ওয়াপদাকে ম্যানেজ করে দেবেন বলেছিলেন। আমরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা চেয়ারম্যানকে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের সহযোগিতা করেননি বরং টাকার কথা অস্বীকার করছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে মোবাইলফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তিনি রিং রেসপন্স করেননি।