চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি বাড়ির বসতঘর থেকে ২২ টি বিষধর সাপ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের কৃষক মনি মিয়ার বসতঘর থেকে ওই সাপগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে সাপগুলো হত্যা করা হয়েছে। তবে পাওয়া যায়নি মা সাপটি।
বাড়ির মালিক মনি মিয়া জানান, আমার বসত ঘরের মেঝেতে ইঁদুরের গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে সাপের আওয়াজ শুনতে পেয়ে আজ বিকেলে কয়েকজন যুবককে নিয়ে ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়তে শুরু করি। এক পর্যায়ে মেঝে থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে একেকটি গোখরো সাপ। ঘরের অর্ধেক মাটি কাটা শেষ হতেই ২২ টি গোখরো সাপ পাওয়া যায়। তবে মা সাপটি পাওয়া যায়নি। পরে সাপগুলোকে মেরে ফেলা হয়। তিনি আরও জানান, মা সাপ ধরতে না পারায় আতঙ্কে রয়েছি। বৃষ্টি ও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে গর্ত খোড়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গর্তগুলোর মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে আবার ওই গর্ত খোঁড়া হবে। স্থানীয় ওঝা রফিকুল ইসলাম সাপগুলো দেখে তিনি এটিকে গোখরা সাপ বলে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, এটা কোবরা যা অনেক এলাকায় গোখরা সাপ হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষাক্ত সাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সাপটি ফসলের ক্ষেত, জলাভূমি, বন ও মানুষের বসতিতে বাস করে। সাধারণত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে স্ত্রী সাপ ১০ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে এবং ডিম না ফুটে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত মা সাপ ডিমের সাথেই থাকে। নিশাচর এই সাপটি মাছ, ইদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, ছোট সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে।সাপটি সারাদেশেই কমবেশি দেখা যায়। উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, উথলী গ্রামের আমতলা পাড়ায় একটি বসতঘরের মেঝে থেকে ২২ টি বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনার পর থেকেই ওই এলাকায় সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।