মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ মেহেরপুরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সেই সংক্রমণের হার যাতে কমিয়ে আনা যায় সেলক্ষ্যে সরকার কাজ করে চলেছে। লকডাউন দেয়া হয়েছে; লকডাউন যাতে সুষ্ঠুভাবে পালিত হয় সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, গত মাসে করোনার সংক্রমণের হার অনেক কম ছিলো। গত দু’এক সপ্তাহে এর হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে ঘরে থাকতে হবে। আপনাদের পরিবারকে বাঁচাতে হবে। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান রোববার সকালের দিকে চলমান কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে চলেছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান যে সময় যাচ্ছে সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সময়। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় ঝুঁকির পরিমাণটা বেশি। যে কারণে সাবধান হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
একই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যশোর সেনানিবাসের ২৭ ফিল্ড আর্টিলারির রেজিমেন্টের মেজর মাহমুদ আফজাল বলেন, আমাদের টহলের মূল উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের মধ্যে করোনার সর্তকতার বিষয়ে আরো উদ্বুদ্ধ করে তোলা। বাংলাদেশের যে কোনো ক্লান্তি লগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের আদেশে মাঠে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
এ সময় জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন সফল করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান, সদর থানার ওসি শাহ দারা খান, ডিবির ওসি জুলফিকার আলীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী ও মেজর মাহমুদ আফজাল মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার নিউ মার্কেট এলাকা এবং বড় বাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন।
এদিকে সরকারি আইন অমান্য করে লকডাউনের মধ্যে মাস্ক বিহীন বাইরে ঘোরাফেরা করার সময় ৫ ব্যক্তিকে জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এদিন সকালের দিকে মেহেরপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, লকডাউন চলাকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্কবিহীন চলাচল এবং বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়ার অপরাধে ৫ ব্যক্তির নিকট থেকে এক হাজার একশ’ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।