নিউ ইয়র্কে বাস টার্মিনালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের চেষ্টার সময় আহত অবস্থায় ধরাপড়া বাংলাদেশি যুবক আকায়েদ উল্লাহর শাস্তি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। ম্যানহাটনের ফেডারেল জজ ৩১ বছর বয়সী আকায়েদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরও ৩০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ সাধারনত ২৫ বছর; আকায়েদকে তার সঙ্গে আরও ৩০ বছর কারাভোগ করতে হবে। অর্থাৎ তার বাকি প্রায় গোটা জীবনটা কারাগারেই কাটবে। আকায়েদ দাবি করেছিলেন, তিনি আত্মহত্যার উদ্দেশে ওই তৎপরতা চালিয়েছিলেন। তার সঙ্গে আইএস কিংবা কোনো জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র ছিল না। তবে সাজা ঘোষণার সময় বিচারক রিচার্ড সুলিভান বলেন, এই হামলা ছিল বর্বরোচিত এবং ভয়ানক অপরাধ।
২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর সকালে অফিসগামী যাত্রীদের ব্যস্ততার মধ্যে টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশন থেকে ম্যানহাটনের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে যাওয়ার সংকীর্ণ ভূগর্ভস্থ পথে নিজের শরীরে বাঁধা ‘পাইপ বোমায়’ বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েদ। বোমাটি ঠিকমত বিস্ফোরিত না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন আকায়েদ। তার বিস্ফোরণে আহত হন তিন পুলিশ সদস্য। তাকে ধরারপর নিউ ইয়র্ক পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলেজোনায় পুলিশ।
আকায়েদ ব্রুকলিনে তার মা, বোন ও দুই ভাইর সঙ্গে থাকতেন। গ্রিনকার্ডধারী আকায়েদের স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে রয়েছে বাংলাদেশে।
চট্টগ্রামের আকায়েদ বড় হয়েছেন ঢাকার হাজারীবাগে। ৮ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর প্রথমে ট্যাক্সিক্যাব চালালেও পরে একটি আবাসন নির্মাতা কোম্পানিতে বিদ্যুৎ মিস্ত্রির কাজ নেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ