শেখ সফি: ২০০৫ সালে দাম্পত্য জীবন শুরু হলেও সন্তান না হওয়ায় অপূর্ণতা কুরে কুরে খাচ্ছিলো আহসান হাবীব-ফেরদৌসি বেগম দম্পত্তির। ২০১৪ সালে একটি সন্তান জন্মের পর মৃত্যুবরণ করে। অবশেষে পূরণ হয়েছে সন্তান শূন্যতার দীর্ঘ হাহাকার। ফেরদৌসি বেগমের কোলজুড়ে এসেছে তিনটি ফুটফুটে সন্তান। মেহেরপুরের মুজিবনগরের কুদরত-ই-খোদা ক্লিনিকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে সিজারিয়ান অপারেশেন দুই পুত্র ও এককন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তাদের দেখতে ভিড় করছেন উৎসক মানুষ। ওই দম্পত্তির বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জেলার চাকুলিয়া গ্রামে।
একসাথে তিনটি সন্তান হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে তাদের সুস্থতায় দোয়া চাইলেন গর্বিত পিতা আহসান হাবীব।
আহবান হাবীব পেশায় একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি। তিনি জানান, ২০০৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে এক সন্তান জন্ম হলেও তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন পর সন্তান পেয়ে হারিয়ে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন এই দম্পত্তি। অবশেষে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে একসাথে তিনটি সন্তান পেয়ে পরিবারটিতে বইছে আনন্দের বন্য। স্ত্রী ও তিন সন্তানের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দো’যা কামনা করেন আহসান হাবীব।
ক্লিনিকের চিকিৎসক রিচার্ড সরেন বলেন, এমন একটি ব্যতিক্রমী সিজারিয়ান অপারেশন করতে পেরে আমি গর্বিত। তিন শিশুর ওজন স্বাভাবিক আছে। মা ও সন্তানেরা এখন সুস্থ। তাদের সুস্থতার কামনা করেন তিনি।
এদিকে সকালে সিজারিয়ান অপারেশনে তিনটি শিশু জন্মের খবর পেয়ে রিবারের লোকজন ও ক্লিনিকের আশেপাশের উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন ক্লিনিকটিতে। শিশু তিনটিকে একনগর দেখে দো’য়া করছেন তারা।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ