দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমা ও বাছাই পর্ব শেষ হয়েছে। সেই সাথে প্রার্থীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রতীক। এবারের নির্বাচনে ১৩ পদের বিপরীতে ৩০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বাছাই পর্বে কারোই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিকেল ৩টার মধ্যে সকল প্রার্থী দাখিল করেছেন মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপত্র ও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নিধারিত থাকলেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যেই গত রোববার রাত ৮টার দিকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। গতবারের ভোটারের তুলনায় এবার বেড়েছে ৮৭ ভোটার। ১০০১ ভোটার গতবার থাকলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮ জনে। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি তৈয়ব আলী (চাঁদতারা) ও ফিরোজ আহমেদ সবুজ (হারিকেন), সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান (বাইসাইকেল) ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স (ছাতা), সহসভাপতি পদে বর্তমান সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান (চেয়ার), সাবেক সহসভাপতি ফারুক আহমেদ (মোরগ), এএসএম কবির (হাতপাখা) ও আবু সাঈদ হোসেন (মাছ) সহসাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সহসাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন (কাপ-পিরিচ), ইসমাইল হোসেন (তালাচাবি), একরামুল হক খলিল (ফুটবল) ও আকরাম আলী (কলস) প্রতীক পেয়েছেন। তাছাড়া ৭টি ওয়ার্ডের ৯জন সদস্য পদের বিপরীতে ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ১নং ওয়ার্ডে প্রশাসন, সংস্থাপন, ভূমি, বাণিজ্যিক শাখা, প্রধান স্টোর, মসজিদ, ওয়েব্রীজ, ইমারত, গোপন শাখা, চোলাই বিক্রয় শাখা, স্বাস্থ্য বিধান, হাসপাতাল, বিদ্যালয়, জেনারেল, টুলস স্টোর, হিসাব বিভাগের সকল শাখা, কৃষি খামার অফিস, কারখানা করণীক ও ওষুধ কারখানায় ভোটার সংখ্যা ১০১ জন। সদস্য পদে সেলিম খান (বালতি) ও সালাউদ্দিন শাহ সনেট (ডাব), ২নং ওয়ার্ডে চোলাই কারখানার সকল শাখা, সকল পন্যাগার, ডিস্টিলারী (ভান্ডার), ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিক্রয় অফিসে ভোটার সংখ্যা ১৪৬ জন। সদস্য প্রার্থী বাবর আলী (বেলচা) ও আমিনুল ইসলাম (ডাব), ৩নং ওয়ার্ডে পরিবহন বিভাগ, কৃষি খামার পরিবহন চালক-হেলপার ও মেইন্টটেন্স শাখায় ভোটার সংখ্যা ১৭২ জন। সদস্য পদে শরিকুল ইসলাম (টর্চলাইট) ও শফিকুল ইসলাম (ডাব)। ৪নং ওয়ার্ডে ইক্ষু সংগ্রহ অফিস, পিসি, সেন্টার গার্ড কাম স্কেলম্যান, পিডি, কেন আউট স্টেশন গার্ড, এলডিএ, কেন ক্যারিয়ার সুপার ভাইজারে ভোটার সংখ্যা ১২৪ জন। সদস্য পদে ইয়ামিন হক (আখের আঁটি) ও মতিয়ার রহমান (ডাব), ৫নং ওয়ার্ডে সকল সিডিএ, সিডিএ কাম সিআইসি, আকন্দবাড়িয়া পরীক্ষামূলক খামার, সকল কৃষি খামারের করণীক, ফিল্টম্যান, সুপার ভাইজার, পাম্পচালক, পূর্জি রাইটার ও ক্রয় করনীকে ভোটার সংখ্যা ১০৫ জন। সদস্য পদে সাইফুদ্দীন (ডাব) হারিজুল ইসলাম (আখের আঁটি)। ৬নং ওয়ার্ডে উৎপাদন বিভাগ, সুগার ল্যাবটারি, টাটা এন্ট্রি বিদ্যুত বিভাগে ভোটার ২৩০ জন। ২টি সদস্য পদে হাফিজুর রহমান (বেলচা), মজিবর রহমান (ডাব), নুরুল ইসলাম (আখেরআটি) ও মোহন আলী (হাতুড়ি)। ৭নং ওয়ার্ডে প্রকৌশল, মিল হাউজ, বয়লিং হাউজ, বয়লার, টার্বাইন ও ওয়ার্কসপ শাখায় ভোটার সংখ্যা ২১০ জন। ২টি সদস্য পদে আজাদ আলী (হাঁতুড়ী), জহিরুল ইসলাম (আখের আটি), মফিজুর রহমান (বেলচা) ও ইদ্রিস আলী (কাঠাল) প্রতীকে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে ঘটেছে তর্ক-বিতর্কের ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য শরিফুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা সদস্য প্রার্থী শফিকুল ইসলামের সাথে অসধাচরণ করেছেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। মাসুদ সংগঠনের সমর্থক শরিফুল ইসলাম ও প্রিন্স সংগঠনের সমর্থক শফিকুল ইসলাম হওয়ায় কেরুজ এলাকায় নানামুখি আলোচনা শুরু হয়েছে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এবারের ভোটে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) রাব্বিক হাসান, সদস্য সচিব, মিলের মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারী) ফিদা হাসান বাদশা, সদস্য উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আবদুল ফাত্তাহ, উপ-ব্যবস্থাপক (পরিঃ প্রকৌশলী) আবু সাঈদ ও জুনিয়র অফিসার (ভূমি) জহির উদ্দিন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ