হাশেম রেজার বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ

দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি গ্রামের আ.লীগ নেতা টুটুলের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি গ্রামের হাশেম রেজার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কাফি উদ্দিন টুটুল। এ সময় তিনি হাশেম রেজার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে টুটুল বলেন, হাশেম রেজা জামায়াত পরিবারের লোক। অবৈধ টাকার মালিক, ভুয়া সার্টিফিকেটধারী, সন্ত্রাসী, সাধারণ মানুষের প্রতি জুলুমকারী প্রতারক, ভ- মুখোশধারী। নিজের সব অপরাধ ঢাকার জন্য প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হাশেম রেজাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুড়–লগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাফি উদ্দিন আরও বলেন, হাশেম রেজার ভয়ে গ্রামের মানুষ সর্বদা আতঙ্কে থাকে। তার রয়েছে মস্তান বাহিনী ও অবৈধ অর্থ এবং পুলিশি ক্ষমতা। হাশেম রেজার কথামত না চললে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো আবার তাদের ছাড়িয়ে দেয়ার নামে নিজের ক্ষমতা জাহির করা এবং অসহায় মানুষের জমি জায়গা নিজের নামে লিখে নেয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। হাশেম রেজার অত্যাচার গ্রামের অধিকাংশ লোক মুখ খুলতে পারছে না। শুধু মারধর ও মিথ্যা মামলার ভয়ে। হাশেম রেজার বিরুদ্ধে কথা বললেই সমস্যা। তাকে যারা প্রভু মেনে চলবে তারা শুধু হাশেম রেজার লোক। অন্য সবাই তার শত্রু। তিনি হিটলার বা নমরুদের স্টাইলে সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করতে চান। তিনি গ্রামের বহু সম্মানিত মানুষকে প্রকাশ্যে অপমান করেন। তার চাচাতো ভাই-বোন নুরজাহান ও সাইদ এবং  নুরজাহানের স্বামী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল সালাম মিন্টুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠান। এভাবে বাবুর আলীর ছেলে সাংবাদিক শিমুল রেজাকে অপহরণ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি। জাকিরের বাড়িঘর লুটপাট ভাঙচুর নারী নির্যাতন, আব্দুলের হাতুড়িপেটা করা এবং নিজেকে বাঁচাতে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হাশেমরেজার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিনি কিভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেলেন? হাশেম রেজা অষ্টম শ্রেণি পাস। এসএসসিও পাস করেননি। তিনি কোন কলেজে পড়াশোনা করেছেন তা আমরা জানতে চাই। ১৯৯৪ সালে হাশেম রেজা এসএসসি পাস করেননি এবং দর্শনা কলেজে পড়েননি। কিন্তু তার পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম তিনি দর্শনা সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ করতেন, ভর্তি না হয়ে এটা কিভাবে সম্ভব! হাশেম রেজা কুড়–লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং কৃষকদের সমিতির টাকা মেরে খাওয়ার জন্য কৃষক সমিতির উপদেষ্টা হয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা টুটুল। হাশেম রেজার বাবা জামায়াত করতেন এবং হাশেম রেজা সেসময় দর্শনায় বিএনপি নেতা লিয়াকত শাহ’র চা বানাতেন এবং বিএনপির রাজনীতি করতেন। ঢাকায় গিয়ে হাশেম রেজা মরহুম বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে দিয়ে পত্রিকায় জন্মদিনের কেক কাটান। এসব তার পত্রিকার ওয়েবসাইটে আছে। হাশেম রোজা শুধু আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ কিনে নিজের সব অপরাধ ঢাকতে কৌশল করে যাচ্ছেন। ওই কমিটি আজও অনুমোদন হয়নি, তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রশাসনকে চাপে রাখতে চান। আসলে পত্রিকা এবং তার সব পরিচয় মানুষ ঠকানোর এক অভিনব হাতিয়ার। তার সব অপকর্মের আমরা ধিক্কার জানাই এবং প্রতিবাদ করি এই মুখোশধারী ভ- প্রতারক কোনো কৌশলে যেন প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজকে চোখে ধুলো দিতে না পারে। সেজন্য তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More