ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: মধ্য রাতে হামলায় বড় ভাইয়ের রক্তাক্ত শরীর দেখে ছোট ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রিশখালী গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুস সাত্তার (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সামাদ মোল্লার ছেলে। গ্রামবাসী জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান ছাব্দার রহমানের ভাতিজা হাফিজুর রহমানের নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার মধ্যরাতে প্রতিবেশী আবুল কালাম ও লিটন ওরফে লাল্টুসহ ৮-১০ ব্যক্তি ছাব্দার রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আবুল কালাম ও লিটন ছাব্দারের মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ভাই আব্দুস সাত্তার বড় ভাইয়ের রক্তাক্ত শরীর ও লোকজনের চিৎকার চেচামিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ছাব্দার রহমান জানান, আমরা রাতে বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ কালাম, লিটন ওরফে লাল্টুসহ আট-দশজন লোক আমাদের ডাক দিলে আমরা সরল বিশ্বাসে প্রতিবেশী ভেবে ডাকে সাড়া দিয়ে বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এসময় আমি রক্তাক্ত হলে আমার ভাই স্ট্রোক করে মারা যান। তিনি বলেন গভীর রাতে হামলা ও রক্তাক্ত হওয়া দেখেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে হরিণাকু-ু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির শরীরের রিং পরানো ছিলো। তিনি হার্টের রোগী। হয়তো গোলযোগ আর চিৎকার চেচামেচিতে তার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ