স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম ॥ হাসপাতালে ভর্তি
মুজিবনগর মোনাখালীতে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ : সংঘর্ষ
মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে ছাগল দিয়ে ধান খাওয়াতে নিষেধ করায় স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মিনারুল ইসলামসহ তার ছেলে ও ভাইদের নামে। গত বুধবার সকালে উপজেলার মোনাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ইজারুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী নবেজান খাতুন (৪০)। নবেজান খাতুনের মাথায় ৪টি ও পায়ে ১৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে এবং ইজারুল ইসলামের পায়েসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে।
জানা গেছে, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের ইজারুল ইসলাম তার ক্ষেতের জমিতে ধান রোপণ করেছেন। প্রতিবেশী বাদলের ছেলে মিনারুল ইসলামের ছাগল প্রায় ধান খেয়ে থাকে। এনিয়ে মিনারুলকে কয়েকবার মানা করেছেন ইজারুল ইসলাম। মিনারুল ইসলামকে বিষয়টি বলতে গেলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। এরই জের ধরে সকালে ইজারুল ইসলামের স্ত্রী ক্ষেতে ধান দেখতে গেলে মিনারুল ইসলামের ছাগল জমির ধান খায়। এ নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মিনারুল ইসলাম তার ছেলে ও তার দুই ভাইসহ কয়েকজন মিলে ইজারুল ইসলামের স্ত্রী নবেজান খাতুনকে মারপিট করে। পরে ইজারুল ইসলাম স্ত্রীকে ঠেকাতে গেলে সবাই মিলে ইজারুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা দুজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করছে।
এ বিষয়ে ইজারুল ইসলাম জানান, মোনাখালী গ্রামের মিনারুল ইসলামসহ তার ছেলে ও ভাইয়েরা আমার স্ত্রী নবেজান খাতুনকে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে আমি আমার ধানক্ষেতে যায়। গিয়ে দেখি আমার স্ত্রীকে মিনারুল ইসলাম তার ছেলে তৌফিক, তার দুই ভাই সফিক ও চিনিবাস, ওই গ্রামের তুফানের ছেলে খোকন, কামালের ছেলে রাশেদ, ইকাব আলীর ছেলে রুবেলসহ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র শাবল ও দা নিয়ে কোপ মারছে। এমন অবস্থায় আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও বেধড়ক মারে। এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ওরা পালিয়ে যায়। পরে আমি আইনের সাহায্যে নিতে চাইলে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাকে হুমকি দেয়। পরে আমি আদালতে গিয়ে একটি এজাহার করি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার এস আই সুব্রত কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরকম অভিযোগ আমাদের বিশ্বনাথপুর ক্যাম্পে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।