জীবননগর ব্যুরো/হাসাদাহ প্রতিনিধি: কিশোর বয়সে স্কুল জীবনে প্রেমের কবলে পড়ে অকালে ঝরে গেলো সম্ভাবনাময় একটি জীবন। বাল্যবিয়েতে পরিবার রাজি না থাকায় প্রেমিকা রিপা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে প্রেমিক উল্লাস বিষপানের পর এখনো বেঁচে আছেন। রয়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে জীবননগর উপজেলায়। আত্মহনকৃত প্রেমিকা সানজিদা আকআতার রিপার (১৫) বাড়ি বকু-িয়ায়। অন্যদিকে প্রেমিক উল্লাসের বাড়ি কাটাপোল গ্রামে। তারা দুইজনই হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত সোমবার রাতে হৃদয় বিদারক এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের বকু-িয়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ আহমেদের মেয়ে সানজিদা আক্তার রিপা ও পাশ্ববর্তী কাটাপোল গ্রামের ছবদুল ম-লের ছেলে উল্লাস হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ক্লাসে লেখাপড়ার সুযোগে তারা একে অপরের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
নিহত রিপার পিতা ফিরোজ আহমেদ বলেন, উল্লাস সোমবার রাতে আটটার দিকে বিষপান করে বলে খবর পায়। তবে সে কী কারণে বিষপান করে তা আমরা জানি না। আমার মেয়ে রিপা এ খবরের পর সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মেয়ে তার শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা ঘটনা টের পেয়ে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। আমার মেয়ে উল্লাসের সাথে বিয়ে করতে চাইলে আমরা অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এ কারণেও হয়তো সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ ব্যাপারে আমি কাউকে দায়ী করতে চাই না।
হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য জুলফিক্কার জুলু বলেন, সোমবার রাতে প্রথমে প্রেমিক উল্লাস বিষপান করে। পরে রিপা একইদিন রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দুপুরে রিপার দাফন সম্পন্ন হয়ে বলে জানা গেছে।