সুশিক্ষার প্রয়োজনে শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে
জীবননগরে ডিগ্রি কলেজে নিরুৎসাহিতকরণ অনুষ্ঠানে ইউএনও আরিফুল ইসলাম রাসেল
জীবননগর ব্যুরো: মুঠোফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অ্যাপসে উস্কানিমূলক ও অপ্রয়োজনীয় পোস্ট নিরুৎসাহিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেল বলেন, এনড্রয়েড ফোন এখন সকলের হাতে হাতে। কোন কিছু দেখলেই ওই ছবি বা ভিডিও প্রকাশের যোগ্য না অযোগ্য তার কোনো প্রকার বাচ-বিচার না করেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে দেয়া হচ্ছে। করা হচ্ছে ভাইরাল। এর ফলে সমাজ কিংবা জাতি কতোটুকু উপকৃত হচ্ছে তার কোন হিসেব কষা হচ্ছে না। ওই পোস্ট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে; এর ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেন, ক্লাস রুমে পড়া ধরলে না পারায় ওই শিক্ষার্থীকে কিছু লঘু শাস্তি দিতে গেলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে আইনী পদক্ষেপ। যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত অশনি সংকেত। এমন ঘটনা আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সময় শিক্ষকের হাতে বেত ছিলো, আর আজ বেত উঠে গেছে। শিক্ষককে দেখলে বাইসাইকেল থেকে নেমে গেছি, বসে থাকলে উঠে দাঁড়িয়েছি; আর আজ তা চোখে পড়ে না। তিনি বলেন আমাদের সন্তানদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিক করে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার আবারও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল রোবাবর জীবননগর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আয়োজিত মুঠোফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অ্যাপসে উস্কানিমূলক ও অপ্রয়োজনীয় পোস্ট নিরুৎসাহিতকরণ অনুষ্ঠানে ইউএনও আরিফুল ইসলাম রাসেল উপরোক্ত কথা বলেন।
জীবননগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলী আখতারের সভাপতিত্বে ও উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন জালালের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল হান্নান, আব্দুল আজিজ শুকুর, রবিউল ইসলাম, এসআই আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক আব্দুস সালাম, শিক্ষক রবিউল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, সম্প্রতি কলেজে এক ছাত্রের পিঠে তিনি চপোটাঘাত করেন। ওই ছাত্র ক্লাস রুমে চরমভাবে বেয়াদবি করছিলো। চপোঘাত করার পরের দিন ও ছাত্রের পিতা এসে তাকে শাসিয়ে যান। বলেন, ছেলেকে কলেজে পাঠিয়েছি আপনার হাতে মার খাওয়ার জন্য নয়। অপর একজন শিক্ষক জানান, কলেজের রুটিন মোতাবেক খোঁজ নেয়ার জন্য তারা কয়েকজন শিক্ষক এক ছাত্রীর বাড়িতে গেলে ওই ছাত্রী শিক্ষকদের চিনতেই চাননি। এমন ঘটনা তাদেরকে চরম লজ্জিত করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেও করে পোস্ট দেয়ায় শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। অনুষ্ঠানে এর থেকে সকলকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।