সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতন ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা শহর ছাড়াও হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসুচিতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন। ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে সাংবাদিকরা রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন, আহম্মেদ নাসিম আনসারী, রাজিব হাসান, লোটাস রহমান সোহাগ, এম এ জলিল, শামিমুল ইসলাম শামিম, সাহিদুল এনাম ও ওমর আলী সোহাগ প্রমুখ। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইন বাসষ্ট্যান্ডে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর আজাদ রহমান, দৈনিদ দিনকালের জাকারিয়া হোসেন, সমকালের জামির হোসেন, ক্রীড়া সংগঠন অজিত ভট্টার্চায্য, মানবাধিকার কর্মী শিবুপদ বিশ^াস, মাই টিভির প্রতিনিধি মিঠু মালিথা, কালেরকন্ঠ প্রতিনিধি নয়ন খন্দকার ও আর টিভির প্রতিনিধি শিপলু জামান প্রমুখ। হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমকালের এম সাইফুজ্জামান তাজু, ইত্তেফাকের শাহিনুর আলম, নয়াদিগন্তের মাহবুব মোর্শেদ শাহিন ও দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার এইচ মাহবুব মিলু প্রমুখ। শৈলকুপা উপজেলায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচি শেষে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা, সম্পাদক শাহিন আক্তার পলাশ, সমকালের তাজনুর রহমান ডাবলু, লোকসমাজের মফিজুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের আব্দুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। কোটচাঁদপুর শহরেও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ করে রোজিনা গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানান। এ সব সমাবেশে বক্তারা বলেন, দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে একজন সৎ ও নির্ভিক সাংবাদিককে জেলে দিয়েছেন। যে সাংবাদিক একের পর এক স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রতিবেদন করে যাচ্ছিলেন। তার প্রতিবেদনে উঠে আসছিল ওই খাতের সব অনিয়ম আর দূর্নীতি। তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করেন, পাশাপাশি দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অঢেল সম্পদের উৎস খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।