রতন বিশ্বাস : শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মিশনপল্লির যশোর এমএম কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র ভ্যান চালক মনি মন্ডলকে। ভ্যান চালানোর পাশাপাশি প্রবল ইচ্ছা শক্তির উপর ভর করে লেখাপড়ায় অর্জিত হয়েছে সফলতা। কোনও কিছুই দমাতে পারেনি মনিকে। সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে যাচ্ছে সে। এই সফলতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতে একজন চাকরিজীবী হবার স্বপ্ন ঘিরে ধরেছে তার মনে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সে। মনি মন্ডল কার্পাসডাঙ্গা মিশনপল্লির রাখাল মন্ডলের ছেলে। স্ত্রী সন্তানসহ বর্তমানে ৩ সদস্যের পরিবারে একমাত্র তিনিই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। লেখাপড়ার প্রবল আগ্রহ’র কারনে কোনও রকম খেয়ে-নাখেয়ে লেখাপড়া চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন তিনি। এইচএসসি পাশ করে সংসারের অভাব ঘোচাতে ভ্যান চালানো শুরু করে দেন তিনি। দিনে ভ্যান চালানো আর রাতে পড়ালেখা করেন তিনি। অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারনে পড়ালেখায় সফলতা অর্জন করেন তিনি। মনি মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিবন্ধী হওয়া সত্তেও আমি লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। এইচএসসি পাশ করার পর ভ্যান চালানো শুরু করি। দিনে আয় ইনকাম আর রাতে পড়ালেখা করে ডিগ্রি পাশ করে যশোর এমএম কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করার খু্ব ইচ্ছা আমার। নিজেকে কখনও প্রতিবন্ধী মনে করিনি। এইচএসসি পড়ালেখার সময় কার্পাসডাঙ্গার এক সাংবাদিক আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছিলো। তাকে কখন ভুলবো না। আমার পড়ালেখার বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গার কোন ভ্যানচালক জানেনা। তবে আমার মহল্লার সকল মানুষ বিষয়টি জানে। বন্ধুদের কাছে অনেক ভালোবাসা পাই। তারা সকল ক্ষেত্রে আমার পাশে থাকে। ভ্যান চালানোর ইচ্ছে আমার নেই আমি পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করতে চাই এটাই আমার স্বপ্ন।