স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষ্মীপুর বিল দলকা ইজারাপ্রাপ্ত হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটিডের সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ লঙ্ঘন করে জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের কাছে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাবলিজ প্রদান করেছে। এই মর্মে হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি কামাল খান ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যম্পে সোহরাব হোসেনের সাথে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছেন।
এদিকে, লক্ষ্মীপুর দলকা মরাগাংনী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার আলী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিল দলকা ইজারাপ্রাপ্ত সমিতি হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড সাবলিজ প্রদান করায় জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালার-২০০৯ এর ৯নং অনুচ্ছেদ এবং জেলা প্রশাসকের সাথে ‘বিল দলকা (বদ্ধ) জলমহাল লীজ ফরম (চুক্তিপত্রের) ৯নং শর্ত ভঙ্গ করায় গত ২৬ জুলাই হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ইজারা বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবার একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি কামাল খান জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সাথে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ২৭৬ দশমিক ৪৮ একর জমির জলমহাল সাবলিজ সম্পাদন করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সাথে হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি কামাল খান ১৪২৫-১৪৩০ বাংলা সালের জন্য বার্ষিক ১ম চার বছর ৯ লাখ টাকা করে এবং পরবর্তী ২ বছর শতকরা ২৫ ভাগ বৃদ্ধি করে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে চুক্তিবদ্ধ হয়।
অথচ, হেমায়েতপুর প্রগতি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডর সভাপতি কামাল খান সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ এবং জেলা প্রশাসকের সাথে চুক্তিপত্র সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে বেআইনীভাবে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সাথে সাবলিজের চুক্তিপত্র তৈরী করেন এবং অবৈধভাবে মৎস্য শিকার করছেন। এর ফলে কামাল খান শর্ত ভঙ্গ করেছেন এবং সোহরাব হোসেন জলমহাল নীতির সাথে প্রতারণা করেছেন। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৯ বলা হয়েছে, ইজারাকৃত জলমহালগুলো কোনক্রমেই সাবলিজ দেয়া যাবে না, যদি সাবলিজ দেয়া হয় তাহলে উক্ত জলমহালের ইজারা জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাতিল করবেন এবং জামানতসহ জমাকৃত ইজরামূল্য সরকারে অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। ওই ইজারা গ্রহীতা পরবর্তী তিনবছর কোন জলমহালের ইজারার জন্য বা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। অপরদিকে, জেলা প্রশাসকের সাথে চুক্তিপত্রের ৯নং শর্তে লিজগ্রহীতা এই জলমহাল অন্য কাহাকেও সাব-লীজ প্রদান করিতে পারিবেন না। সাব-লীজ প্রদান করা হইলে লীজ তৎক্ষণাৎ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।