বজ্রপাতে বরযাত্রীদের ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব লাশ দাফনের পরও স্বস্তি পাচ্ছেন না পরিবারের বেচে যাওয়া সদস্যরা। তাদের আশঙ্কা, বজ্রপাতে নিহতদের লাশ চুরি হতে পারে। এ কারণে লাশ পাহারা দিচ্ছেন তারা রাত দিন। এ বিষয়ে কাঁদতে কাঁদতে সদ্য বিবাহিত আল মামুন বলেন, লাশ চুরির হাত থেকে রক্ষা করা নিয়ে অনিশ্চয়তার দিন কাটছে। তিনি আরও বলেন, লাশগুলো দাফনের পর থেকে সংসারের চিন্তা বাদ দিয়ে কবরগুলো পাহারা দিতে হচ্ছে। স্থানীয়রা সবাই সহযোগিতা করেছে রড, সিমেন্ট দিয়ে কবর ঢালাই করার কাজে। তারাও সহযোগিতা করছে লাশগুলো পাহারা দেওয়ার কাজে।
স্থানীয়রা জানান, বজ্রপাতে নিহত তোবজুল হক, তার স্ত্রী জামিলা বেগম, তোফজুলের ছেলে সাদিকুল ইসলাম , পুত্রবধু ল্যাচন, অপর ছেলের বৌ টকিয়ারা, নাতি বাবলু কে বুধবার (৪ আগস্ট) রাতেই বাড়ির সামনে দাফন করা হয়। মৃতদের দাফনে সাহায্য করার মত কেউ না থাকায় গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে লাশগুলো দাফন করে। এরপর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কবর বাঁধাই শেষে ঢালাই দিয়ে লাশ সুরক্ষিত করা হয়। প্রতিবেশী আনারুল বলেন, ‘আমরা শুনেছি বজ্রপাতে কেউ মারা গেলে নাকি লাশ কবর থেকে চুরি হয়ে যায়। তাই এলাকাবাসী অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে। ছোট বড় সবাই কবরগুলো বাঁধাতে সহায়তা করেছে।’ এ ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে অন্য গ্রামের মানুষজন আসছেন। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহায়তার হাত। বিশেষ করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও এগিয়ে এসেছেন পরিবারের সহায়তায়।
উল্লেখ্য, বুধবার (৪ আগষ্ট) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তেলিখাড়ি ঘাটে বজ্রপাতে ১৭ জন মারা যান।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ