রহিম রেজার প্রেরিত ঝালকাঠির একগুচ্ছ সচিত্র সংবাদ

রাজাপুরে বিষখালি নদীতে পড়ে কলেজছাত্র নিখোঁজের ৩ দিন পর লাশ উদ্ধার


ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালি নদীতে পড়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর রাকিব হাওলাদার নামে এক কলেজ ছাত্রে লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। শনিবার সকালে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন দক্ষিন পাশের বিষখালি নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৩ জুন রাত সোয়া ৮ টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজার এলাকার লঞ্চঘাটের পল্টুন এলাকা থেকে বিষখালি নদীতে পড়ে নিখোজ হন রাকিব। উপজেলার পুখরিজানা গ্রামের রাজমিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে রাকিব বরিশাল হাতেম আলী কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী মতিউর রহমান মতি জানান, ঘটনার সময় নদীতে নোঙর করা একটি বলগেটে উঠে গরমের কারণে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা তারা। এ সময় হঠাৎ প্রচন্ড ঢেউ এসে বালু ভর্তি বলগেটটি তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিলে তাড়াহুড়ো করে বলগেট থেকে লাফিয়ে পল্টুনে উঠার সময় অন্যরা উফতে পারলেও নদীতে পড়ে যায় রাকিব। এ সময় পল্টুনের সাথে আঘাত লেগে পানিতে তলিয়ে যায় রাকিব। এসময় হাত জাগিয়ে বাচার আকুতি করলেও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যাওয়ার আগেই পানির ঢেউয়ের ¯্রােতে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নিখোজ হয়। পরের দিন সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলও কয়েক ঘন্টা খুজে ব্যর্থ হয়। কিন্তু শুরু থেকেই স্বজন, জেলে ও স্থানীয়রা নৌকা, ট্রলারে করে খোজা শুরু করে। লাশ উদ্ধারের পর তার শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে বলে জানায় স্বজনরা। রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবার আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজাপুরে ঔষধ বিক্রেতাদের দু’গ্রুপে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা, গ্রেফতার-৩


ঝালকাঠির রাজাপুরের এক ঔষধ ব্যবসায়ীকে কুক দেয়া ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঔষধ বিক্রেতা ও স্বজনদের দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজাপুর থানায় এ মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- ইসলামীয়া ফামের্সির মালিক আহসান হাবিব সোহাগের দায়ের করা মামলায় সদরের মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা আনিচ কাজির ছেলে রাজাপুর সরকারি কলেজের ছাত্র নায়েব কাজি (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলায় ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধানসহ মোট ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে আফজাল মেডিকেল হলের মালিক আফজালের দায়ের করা মামলায় চর রাজাপুর এলাকার আবুল বাসারের ছেলে রাহাত (২২) ও কৈবর্তখালি গ্রামের জয়নাল ফরাজির ছেলে তাওহীদ (২২) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলায় ইসলামীয়া ফামের্সির মালিক আহসান হাবিব সোহাগকে প্রধানসহ ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইসলামীয়া ফামের্সির মালিক আহসান হাবিব সোহাগকে প্রধানসহ ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে এ মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আফজাল মেডিকেল হলের মালিক আফজাল অভিযোগ করে জানান, ঔষধ বিক্রির ব্যবসায়ীক দ্বন্দে¦র জেরে আফজাল মেডিকেল হলের মালিক আফজালকে দেখলেই ইসলামীয়া ফার্মেসির কয়েক কর্মচারি বিভিন্ন স্থানে বসে কুক দিয়ে উত্যক্ত এবং অকথ্য ভাষায় গালমমন্দ করতো। এ ঘটনা আফজালের ছেলে ইসলামীয়া ফার্মেসির কর্মচারিদেরকে জিজ্ঞাস করতে গেলে এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় অপুকে রক্ষা করতে এসে তার কয়েক বন্ধুসহ উভয় পক্ষের কয়েক জন আহত হয় এবং ইসলামীয়া ফার্মেসির লোকজন নায়েবকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। অপর আহত অপু রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যায়। ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েল অভিযোগ করে জানান, ইসলামিয়া ফার্মেসি ও সোহাগ কিøনিকের পরিচালক সোহাগের নির্দেশে তার লোকজন জুয়েলের ভাগ্নে বিকেএসপির বকসিং খেলোয়ার তানভীর অপুকে ইসলামিয়া ফার্মেসির সামনে বসে আটকিয়ে হামলার চালিয়ে আহত করে। সে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে বরিশাল থেকে দুপুরের পরে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান জুয়েল। এসময় সোহাগের নির্দেশে তার লোকজন জুয়েলের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এছাড়াও পূর্বে সোহাগ ক্লিনিকের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে ডেইলি স্টারে সংবাদ করায় পূর্ব থেকে তার উপরে ক্ষিপ্ত ছিল এবং হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে হেয় ও হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এসব ঘটনার জের ধরেই তার উপরে হামলা চালিয়ে হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। এসব বিষয়ে ইসলামিয়া ফার্মেসি ও সোহাগ ক্লিনিক পরিচালক আহসান হাবিব সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন আগে সোহাগ ফার্মেসী কর্তৃক ঔষধের মুল্য কম রাখার ঘোষনা দিলে অন্য ফার্মেসীর লোকজন তার বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবজাল ফার্মেসির লোকজন তার ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে কামরুল, হামীম ও রবিউল হাসানকে আহত করে। আহতদের মধ্যে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয় এবং সোহাগ ফার্মেসীর কর্মী রুহুল আমিন তাদের সাথে যায়। এ সময় ডেইলি স্টারের জুয়েল ও তার দলবল অতর্কিতভাবে রুহুল আমিনের উপর হামলা চালায়। রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। ২টি মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

রাজাপুরে প্রাইভেট পড়ানোর দায়ে স্কুল শিক্ষকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা
ঝালকাঠরি রাজাপুরে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রাইভেট পড়ানোর দায়ে রাজাপুর পাইলট সরকার বালিকা উচ্চ বিদ্যালযের সিনিয়র বিএসসি শিক্ষক মিন্টু বাবুকে (৫০) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজলোর টিএন্ডটি সড়কের নিজ বাসায় সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে প্রাইভটে পড়ানোর সময় পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায় ইউএনও সোহাগ হাওলাদার। পরে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।

রাজাপুরে নিম্মামানের ওষুধ বিক্রি ও মামলা-হামলার প্রতিবাদে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সংবাদ সম্মেলন


ঝালকাঠির রাজাপুরের ইসলামিয়া ফার্মেসি ও সোহাগ ক্লিনিকের মালিক আহসান হাবিব সোহাগের বিরুদ্ধে নি¤œমানের ওষুধ বিক্রি ও হামলা এবং মালার দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মিলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য অভিযোগ করা হয়, আহসান হাবিব সোহাগের মালিকানাধীন সদরের সোহাগ ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে ব্যবস্থা পত্রে নি¤œমানের ওষুধ লেখানো এবং তা ইসলামিয়া ফার্মেসিতে বিক্রি করা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি সোহাগ ক্লিনিকের একজন ভুয়া চিকিৎসককে কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর পর থেকে সোহাগ ক্লিনিকে কোন চিকিৎসাক না থাকলেও ক্লিনিকের প্যাডে রোগীদের ব্যাবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। যাতে থাকছে নি¤œমানের ওষুধ। এর প্রতিবাদ করলে ইসলামিয়া ফার্মেসির বিপরীতে থাকা আফজাল ফার্মেসির মালিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ইসলামিয়া ফার্মেসির কর্মচারীরা। আফজাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে অপু এর প্রতিবাদ করলে শুক্রবার দুপুরে ইসলামিয়া ফার্মেসির কর্মচারিরা অপুকে মারধর করে। এতে অপু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে আহত অপুর মামা ডেইলি স্টার পত্রিকার ঝালকাঠি প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েল দেখতে গেলে ও অপুকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে জুয়েলের ওপর হামলা করে সোহাগের পোষ্য ক্যাডার বাহিনী। লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, আহসান হাবিব সোহাগের ক্লিনিকের অনিয়মের বিষয়ে কেউ কথা বললে তার বিরুদ্ধে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডেইলি স্টার পত্রিকার সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আফজার ফার্মেসির মালিকের ছেলেসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সোহাগ। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এদিকে উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পক্ষ থেকে মহামারি করোনা উপলক্ষ্যে হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের ঘোষণা দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে ইসলামিয়া ফার্মেসি ও সোহাগ ক্লিনিক পরিচালক আহসান হাবিব সোহাগ দাবি করেন, কয়েক দিন আগে সোহাগ ফার্মেসী কর্তৃক ঔষধের মুল্য কম রাখার ঘোষনা দিলে অন্য ফার্মেসীর লোকজন তার বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবজাল ফার্মেসির লোকজন তার ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে কয়েকজন কর্মচারিকে আহত করে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করেছেন। তার নামে ২টি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সোহাগ।

কাঠালিয়ায় এাণের দাবিতে মানববন্ধন


ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামে ত্রাণের দাবিতে মাবববন্ধন করেছে ত্রাণ বঞ্চিতরা। শনিবার সকালে জাঙ্গালীয়া গ্রামের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় শতাধিক লোক অংশ নেয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় আব্দুল জলিল হাওলাদার, আনোয়ারা বেগম, আবুল মীরসহ অরো অনেকে। বক্তাদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হলেও তারা সরকারি কোন ত্রাণ আজও পায়নি। এমনকি ঘুর্ণিঝড় আম্ফানেও তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে কিন্তুু তাতেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন সরকারি ত্রাণ সহায়তা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন নকীব তাদের কোন ত্রাণ সহায়তা দেয়নি। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণে দাবি জানিয়ে ত্রণ বঞ্চিতরা। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন নকীব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত ভাবেও এলাকায় অনেকে ত্রাণ দিয়েছি। এটা আমার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য কিছু লোক নিয়ে এই মানববন্ধন করেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More