স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানির ওপর আগাম কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সাধারণভাবে স্থানীয়ভাবে তৈরি সব পণ্যের দাম কিছুটা কমার কথা। কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা কিটের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পিপিই এবং ফেইস মাস্কসহ সার্জিক্যাল মাস্কের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ নিরোধক ওষুধ আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে কমছে এসব পণ্যের দাম। দেশের টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশের জন্য পলিস্টার, রেয়ন ও অন্যান্য সব সিনথেটিক সুতার ওপর মূসক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রতি কেজিতে সুর্নিদিষ্ট ৬ টাকা করা হয়েছে এবং সব ধরণের কটন সুতার ওপর কর প্রতি কেজিতে ৪ টাকা থেকে কমিয়ে ৩ টাকা করা হয়েছে। এসএমই শিল্পের পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়ায় সেসব পণ্যের দাম কমবে। মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের জন্য সয়াবিন অয়েল কেক ও সয়া প্রোটিন কনসেনট্রেট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়ায় এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে। দেশের আলু দিয়ে পটেটো ফ্ল্যাকস তৈরির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক কমিয়ে ৫ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করায় পণ্যটির দাম কমতে পারে। একইভাবে স্থানীয়ভাবে ভুট্টার গুঁড়ো (মেইজ স্টার্চ) তৈরির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক কমিয়ে ৫ শতাংশে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এটির দাম কমতে পারে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সরিষার তেলের ওপর মূসক অব্যাহতি দেয়ায় এর দাম কমতে পারে। কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন- পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, রোটারি টিলালের মত পণ্যে ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়ায় এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। কৃষিতে ব্যবহৃত দুই ধরনের স্প্রে করার যন্ত্রের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে দাম কমবে এই পণ্যেরও। সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধার্থে সোলার মেশিনের জন্য ৬০ এএমপি পর্যন্ত ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণ আমদানির ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কমতে পারে সোনার দাম। দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় রেফ্রিজারেট ও এয়ারকন্ডিশনারের কম্প্রেসার উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি এ দুটি পণ্যের দাম কমতে পারে। ডিটারজেন্ট শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল এলএবিএসএ-এর শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করায় এর দাম কমতে পারে। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও প্যাকেজিং শিল্পের ফটোগ্রাফিক প্লেটস আমদানিতে শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কাগজ উৎপাদন শিল্পের কাঁচামাল ওয়াশিং অ্যান্ড ক্লিনিং এজেন্ট আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে কমতে পারে দেশীয় কাগজের দাম। গভীর সমুদ্রে জেলেদের মাছ ধরার অন্যতম প্রধান উপকরণ ইলেকট্রিক্যাল সিগনালিং ইক্যুইপমেন্ট আমদানিতে শুল্কহার কমানো হয়েছে। ফলে দাম কমবে এই পণ্যের।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ