মেহেরপুর অফিস: মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে মেহেরপুর অরণি থিয়েটারের পঞ্চাশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চায় শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন, শিশু একাডেমি ও অরণি’র নিজস্ব কার্যালয়ে ৫টি বিভাগে শতাধিক প্রতিযোগী এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে সংগীত, চিত্রাংকন, নৃত্য, আবৃত্তি এবং একক অভিনয় রয়েছে। প্রতি বিভাগে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ গ্রুপ করে এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
মেহেরপুরের প্রবীণ ও বিশিষ্ট সাস্কৃতিক ব্যক্তিত্ববর্গ এ সকল প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করনে। বিচারকগণের মধ্যে ছিলেন সংগীতে সাবিনা সাত্তার মিতা, আল মামুন অনল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। চিত্রাংকনে মীর রওশন আলী মনা, বাকাবিল্লাহ ও চারু তারিন। নৃত্যে শাফিনাজ আরা ইরানি, শওকত আরা মিমি ও সাইয়াদাতুননেছা নয়ন। আবৃত্তিতে রুহুল কুদ্দুস টিটো, সুশীল চক্রবর্তি ও মাহবুবুল হক মন্টু এবং একক অভিনয়ে আহসান রাজিক অপু, আয়েশা সিদ্দিকা নিপা ও মোস্তাক মিলন।
অরণি থিয়েটারের সভাপতি নিশান সাবের বলেন, মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে মেহেরপুর অরণি থিয়েটারের পঞ্চাশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের এ প্রতিযোগিতার আয়োজন। মেহেরপুরে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের লক্ষ্য। যেন সবাই সংস্কৃতিমনা শুদ্ধ মানুষ হয়, পরিপূর্ণ মানুষ হয়। এ লক্ষ্যে অরণি থিয়েটার প্রতিষ্ঠার পর থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অরণী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আতিক স্বপন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস টিটো, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম। অরণি থিয়েটার ও অরণি চিলড্রেনস থিয়েটারের উদ্যোগে এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।