মুজিবনগর প্রতিনিধি: মুজিবনগরে শামীমা খাতুন নামের এক গৃহবধুর মৃত্যুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ীতে মারা যান ওই গৃহবধূ। সন্ধ্যায় মুজিবনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শামীমা খাতুন (৪৫) মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদ ওরফে ওসি’র স্ত্রী।
মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার জানান, শামীমা খাতুন আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। আগের পক্ষের ২ ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা। আব্দুর রশিদের সাথে বিয়ের পর তার এক মেয়ে। মঙ্গলবার সকালের দিকে মারা যাওয়ার পর শামীমা খাতুনের ছেলে আরিফ অভিযোগ করেছিলেন তার মায়ের ওপর প্রায় নির্যাতন চালাতো তার স্বামী।
বিষয়টি সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছেলে আল ইমরান ওরফে আরিফ হোসেন বলেন, আমার মা স্ট্রোক করে মারা যেয়ে থাকতে পারেন। আমরা মুজিবনগর থানায় হাজির হয়ে মায়ের মরদেহ চাইলেও পুলিশ দেয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আহাম্মেদ আলী মাস্টার মারা যাওয়ার পর শামীমা দুই সন্তান নিয়ে কেদারগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের ঘরে সামীয়া খাতুন নামের ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আব্দুর রশিদের সাথে প্রায়ই তার ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক বেলাল হোসেন বলেন, হাসপাতালে সকাল ১০টা ৩২ মিনিটের সময় নিয়ে এসেছিলো তার স্বজনরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান তিনি। যে কারণে তাকে দেখা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা মরদেহ নিয়ে চলে গেছে।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় মুজিবনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।