স্টাফ রিপোর্টার: মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন বেগবান করতে প্রণয়ন করা হচ্ছে দাবিনামা। দাবিসমূহের মধ্যে থাকছে- নদী দূষণ রোধে শহরের পানি নিষ্কাষন নালা ও বর্জ্য ফেলা বন্ধ, নদী তীরে অবৈধ আবাদসহ নদী বুকে কোমড় কারেন্টজাল বাধ অপসারণ। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও কমিটির সভায় এসব নিয়ে বিষদে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, নদী রক্ষার্থে যা যা করনীয় তার সবই করা হবে।
দৈনিক মাথাভাঙ্গা কার্যালয়ে মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী। সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিন, কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাড. শরিফ উদ্দীন হাসু, হাবিবি জহির রায়হান, মনিরুজ্জামান মনিরসহ অনেকেই উপস্থিত থেকে মতামত দেন। বিষদ আলোচনার এক পর্যায়ে মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষা কমিটির সম্প্রতি নদী সরেজমিনে নৌকাযোগে পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করা হয়। বলা হয়, মানুষের অসচেতনতার কারণে মরা পশু পাখি মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এতেও বাড়ছে নদী দুষণ। জেলা শহরের বেশ ক’টা ড্রেনের মাধ্যমে নোংড়া পানি নদীতে দেদারছে নামছে। এতে নদীর পানি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ছে। নদীর তীরে অবৈধভাবে পানবরজসহ বিভিন্ন প্রকারের চাষাবাদ করা হচ্ছে। মাটি খননের কারণে তা ধুয়ে নদীতে নেমে নব্যতা নষ্ট করছে। অবাক হলেও সত্য যে, নদীর বুক থেকে বালু উত্তরণ করে উপকারের বদলে ক্ষতিই ডেকে আনা হচ্ছে। কিছু স্থানে রয়েছে কোমর। তীরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদীর স্বাভাবিক শ্রোতের প্রতিবন্ধকতায় শুধু সৃষ্টি করা হচ্ছে না, ক্ষতিকারক ওই জালের কারণে ছোট বড় মাছের পোনা রেনুও মারা পড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণে প্রশাসনের যেমন আশু পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনই সর্বস্তরে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নদী রক্ষা কমিটিতে জেলার সর্বস্তরের সচেতন মানুষকে সম্পৃক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ