ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপার মোড়ে একতা ক্লিনিকে লাবনী আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। লাবনী মহেশপুরের সেজিয়া গ্রামের নাঈম হাসানের স্ত্রী। সোহেল রানা নামে এক কথিত চিকিৎসক সিজার করার পরপরই বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য লাবনীর মৃত লাশ জীবিত দেখিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক গা ঢাকা দিয়েছে। টাকা দিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানিয়েছেন, লাবনীর মৃত্যুর ঘটনায় কারো ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।
মারা যা্ওয়া কিশোরী স্ত্রীর স্বামী নঈম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লাল ও তার ছেলে সোহেলের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর কথিত চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা আমার স্ত্রী লাবনীকে সিজার করেন। সিজারের পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। এলাকাবাসী জানায়, ক্লিনিকটির কোনো লাইসেন্স নেই। নেই চিকিৎসার নুন্যতম কোনো পরিবেশ। অজ পাড়াগাঁয়ের এই ক্লিনিকে সর্বক্ষণ কোনো চিকিৎসক থাকেন না। নেই কোনো প্রশিক্ষিত নার্স। হাসপাতালের মালিক মোহন লাল, ওয়ার্ড বয়, আয়া ও ছেলে সোহেল ডাক্তার সেজে ক্লিনিকটি পরিচালনা করেন। এ ব্যাপারে ক্লিনিক মালিক সোহেল ও চিকিৎসক সোহেল রানার বক্তব্য নেয়ার জন্য তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে জানান, শুনেছি নেপার বাজারের একতা ক্লিনিকে এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। আমি মহেশপুরের স্বাস্থ্য অফিসার ডা. আনজুমান আরাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড়া দেয়ার আর স্কোপ নেই।