ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাখি শিকারী সালামের জরিমানা
দামুড়হুদায় দেশীয় প্রজাতির তিলা ঘুঘু ও পাখি শিকারের ফাঁদ জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলায় পাখি শিকারের অপরাধে আব্দুস সালাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় তার নিকট থেকে দেশীয় প্রজাতির তিলা ঘুঘু ও পাখি শিকারের ফাঁদ জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের প্রাইমারি স্কুল পাড়ার আব্দুস সাত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে পাচুর বিরুদ্ধে গত দুই মাস যাবৎ শিকারি পাখি দ্বারা পাখি শিকার করার অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা জেলার পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবতার জন্য’র কাছে আসে। পরবর্তীতে পরিবেশবাদী সংগঠনটি দামুড়হুদা উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নিকট জানায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বনবিভাগ ও পরিবেশ বাদী সংগঠন বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে পাখি শিকার অব্যাহত রাখে।
একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি পাখি শিকার অব্যাহত রাখলে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান, উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, পরিবেশেবাদি সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব শিপলু ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরকার অভিযুক্ত ব্যাক্তির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাখি শিকারের অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুয়ায়ী উক্ত ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ মৌখিক ও লিখিত মুচলেকা নেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, পাখি আমাদের জীব ও বৈচিত্র রক্ষায় বিশেষ ভুমিকা রাখে। আর দেশীয় প্রজাতির পাখি আজ বিলুপ্ত প্রায়। আমাদের কিছু অসাধু পাখি শিকারীর কারণে আমরা দিন দিন এই প্রাণীটিকে হারাতে বসেছি। আমরা বন্যপ্রাণী হত্যা, ক্রয় বিক্রয়, শিকার বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সদা তৎপর। পরে চিৎলা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করে বন্যপ্রাণী রক্ষা সম্পর্কে অবগত করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.