বেগম জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কুষ্টিয়া মহিলাদলের কর্মী সম্মেলন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদল কুষ্টিয়া জেলা শাখার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নেওয়াজ হালিমা আরলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। কর্মী সম্মেলন উদ্বোধন করেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহানা রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম-সম্পাদক ফিরোজা বুলবুল কলি। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কহিনুর বেগম, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফারিহা আক্তার। কুষ্টিয়া জেলা মহিলাদলের নেত্রী অ্যাড. আকলিমা আক্তারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া মহিলাদলের নেত্রী রোজী খান, কুমকুম রহমান, ইন্দোনেশীয়া, অ্যাড. জমিরন খাতুন জেমী, রেশমা খাতুন, সাবিনা সুলতানা শিল্পী, রেখা বেগম, শাহানা বেগম শাপলা প্রমুখ। কর্মী সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিউল হাসান অপু, যুব-বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন মোকা। মহিলা দলের কর্মী সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার চায়, খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করুক। এজন্য তাকে তার প্রার্থিত জায়গায় চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। কতো নিষ্ঠুর, অমানবিক সরকার। তারা আইনের দোহাই দেয়, কিন্তু তাদের নিজেদেরই তো আইনি ভিত্তি নেই। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও আ.স.ম রব, আবদুল জলিলকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর উদাহরণ টেনে বক্তারা আরও বলেন, উদাহরণ থাকার পরও খালেদা জিয়াকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে আমাদের দেশে যারা সরকারি দলের রাজনীতি করছেন, তাদের ন্যূনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই, মানবিকতা বোধ নেই। নিজের সম্পর্কে তাদের এতো বেশি দাম্ভিকতা যে তারা যেকোনো ব্যক্তি সম্পর্কে, বিশেষ করে খালেদা জিয়া সম্পর্কে কটূক্তি করতে দ্বিধা করে না। তিনি বলেন, সবকিছু ভুলে যায় তারা। ১/১১ তে যখন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন, তখন খালেদা জিয়া তার মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করা এমন একজন নেত্রীকে আজ তারা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কেন দিচ্ছে সবাই আমরা বুঝি, কেন দিচ্ছে সবাই জানে। আগামীতে মহিলা দলের যে কমিটি হবে সেই কমিটির নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।