স্টাফ রিপোর্টার: করোনা পরিস্থিতিত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মসজিদে তারবীর নামাজ না পড়া, ঈদের নামাজ ঈদগা মাঠে পড়ার পরিবর্তে মসজিদে পড়ার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করে বেগমপুরের ফুরশেদ গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদগাহ মাঠে পড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কার ইঙ্গিতে সরকারি আদেশ অমান্য করে মসজিদের পরিবর্তে ঈদগা মাঠে ঈদের নামাজ পড়ালেন মসজিদের ঈমাম আব্দুল হাই? বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা রয়েছে অব্যাহত।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা, মসজিদে তারবির নামাজ না পড়া এবং ঈদের নামাজ ঈদগাহের মাঠে না করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অভিযোগ উঠেছে সরকারি সব আদেশ নিষেধ অমান্য করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের রেজাউল হক কিনার ছেলে ফুরশেদপুর মসজিদের ঈমাম আব্দুল হাই মসজিদের পরিবর্তে ঈদের নামাজ ঈদগা মাঠে পড়ানোর সিদ্ধান্ত দেন। ঈমাম সাহেবের কথামতো ঈদুল ফিতরের নামাজ খুব সকালে ফুরশেদপুর ঈদগার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। খবর পেয়ে বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই নামাজ শেষ করে দেয় বলে ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই আশরাফুজ্জামান জানান। গ্রামের অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঈদগা মাঠে ঈদের নামাজ পড়ানোয় নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখছি। ৫ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আলতাব হোসেন বলেন, পরিস্কার নির্দেশ থাকা শর্তেও কেনো ঈদগার মাঠে নামাজ পড়ানো হলো বলতে পারবো না। ঈমাম সাহেবের পিতা বেগমপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রেজাউল হক কিনা বলেন, মোবাইলে না, স্বাক্ষাতে বলবো। ইউপি সদস্য কায়েস উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফুরশেদপুর গ্রামে যায় এবং এর সত্যতা পায়। ঈমাম আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা অবশ্যই অপরাধ হয়েছে আমার।