প্রতিষ্ঠানটির নামকরণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার গৌরবমাখা ইতিহাস লালন করবে
ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি নিজশ^ ক্যাম্পাসে স্থানান্তরসহ একাডেমীক ভবনের উদ্ধোনকালে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি
ইসলাম রকিব: সবুজে ঘেরা চমৎকার পরিবেশে বায়ান্ন বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়েছে চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পাস ও শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোন করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এলাকার উচ্চ শিক্ষাদানের এ প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ কেনো ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমরা থাকবো না, প্রতিষ্ঠানটি থাকবে। এটা যুগ যুগ ধরে শিক্ষার আলো ছড়াবে। প্রতিষ্ঠানটির নামকরণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার গৌরবমাখা ইতিহাস লালন করবে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন তার বক্তব্যে উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের সহযোগিতা কমানা করে বলেন, এক সময় অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটি সম্পর্কে জেনে নিজের হাতে উচ্চ শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলাম। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছিলাম। তিনি ৯৫টি আবেদনের মধ্যে ফার্স্ট ক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটিসহ মাত্র ৮টির অনুমোদন দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার আলোছড়িয়ে সর্বস্তরের সকলকে আগ্রহী করে তুলেছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর করতে পেরে আমাদের ভাললাগছে।
উদে¦াধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ফার্স্টক্যাপিট্যাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টিবোডের ভাইস চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রধান অতিথি তথা ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে অভিনন্দিত করা হয়। স্বাগত বক্তব্যসহ আংশিক উপস্থাপনের সময় রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন একাডেমীক ভবনের নির্মাণ কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল, শিক্ষকম-লীর জন্য ডরমটরি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এবং রোপন করা বৃক্ষরাজী বেড়ে উঠলে স্বপ্নের ক্যাম্পাস দর্শনীয় স্থানেও রূপ নেবে বলে বিশ^াস। ক্যাম্পাসে খেলার মাঠও থাকবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাশ নাম করণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী করে যুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় পাকহানাদার বাহিনী চুয়াডাঙ্গার ওপর বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ শুরু করে। বিমান হামলার কারণে অস্থায়ী রাজধানী চুয়াডাঙ্গা থেকে স্থানান্তর করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার এ গৌরব মাখা ইতিহাস জিয়ে রাখতেই প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে। অক্সফোর্ড একজন ব্যক্তির নাম। আমরা সেটা করিনি। প্রতিষ্ঠানটি সকলের। সকলে মিলে প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রা তরান্বিত করতে হবে। শিক্ষক ম-লীদের মান সম্পন্ন শিক্ষাদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উজ্জ¦লতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গাসহ পাশর্^বর্তী এলাকা এগিয়ে যাবে বলে বিশ^াস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন হাফেজ আরিফ বিল্লাহ। আলোচনাসভা শেষে প্রায়ত শিক্ষক ইমরোজ মোহাম্মদের স্মরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধি কামনাসহ প্রয়াত শিক্ষক শিক্ষিকাসহ সংশ্লিষ্ঠাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। সমগ্র আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নাহিদ পারভেজ, পরিচালক অর্থ প্রফেসর আব্দুল মজিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজুল ইক, ডেপুটিচ রেজিস্ট্রার নাফিউল ইসলাম সরদার শান্ত, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দীন হেলা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারন সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, প্রেসক্লাব’র সহ সাধারণ সম্পাদদক ইসলাম রকিব, অর্থ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, কার্যকরি সদস্য রফিকুল ইসলাম, রফিকু রহমান, সাংবাদিক জান্নাতুল নিশি, সেলিম উদ্দীন, জিসান প্রমুখ।