স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার করিমপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- করিমপুর গ্রামের কাশেম মালিতার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৫৫) ও আখের আলীর স্ত্রী চামেলী খাতুন (৩২)। তাদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন আহত মর্জিনা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
এজাহারে বলা হয়েছে, জমি-জমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাশেম মালিতার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো ইউসুফ আলীর পরিবারের। একই বিরোধের জেরে গতকাল রোববার বিকেলে দুই পরিবারের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে কাশেম মালিতার বাড়িতে যান ইউসুফ আলী, তার ছেলে মিনারুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, আব্দুর রশিদ, মিলন আলী ও ইউসুফের শ্যালকের ছেলে জহুরুল ইসলাম। তখন বাড়িতে একা পেয়ে কাশেম মালিতার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় ইউসুফ আলীর ছেলে আরিফ। এতে রক্তাক্ত জখম হন মর্জিনা খাতুন। তাকে উদ্ধার করতে আসলে আখের আলীর স্ত্রী চামেলী খাতুনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ইউসুফ আলীর বড় ছেলে মিনারুল। পরে তাদেরকে আবারও পিটিয়ে জখম ও শ্লীলতাহানি করে ইউসুফ আলী, তার ছেলে আব্দুর রশিদ, মিলন আলী ও নতিপোতা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম। আহতের চিৎকারে ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে গ্রামের অন্য লোকজন। পরে তাদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মর্জিনা খাতুনের মাথায় ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবীর জানান, ওই ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.