কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চুরির অপবাদে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই নির্যাতনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যারা ওই যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং জুতোর মালা গলায় দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তাদের সঙ্গে আগে থেকেই পারিবারিক বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। কোটচাঁদপুর উপজেলার পারলাট গ্রামে গত শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পারলাট গ্রামের ওই দিনমজুর যুবক প্রতিদিনের মতো তার সহযোগী আলমসাধু চালককে ডাকতে বাড়ি থেকে বের হন। পথে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক, খোকন, রাজা, রাজু, সাজ্জাদ, শামিম, ফারুক ও তার ছেলে আবুবকর তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ওই যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। পরে তার গলায় জুতোর মালা দিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে ওই যুবককে স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য ও মসজিদের ইমামের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক বলেন, ‘আমি কাজের জন্য বাইরে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ ওরা আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে জুতোর মালা পরিয়ে ছবি তোলে। আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাইদের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জেরে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওই যুবকের পরিবার। তবে ওই যুবকের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সে আমার বাসায় চুরি করতে এসেছিল। আমার জানালার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তখন আমরা এসে তাকে ধরে ফেলি। এর আগে সে একটি সাইকেল চুরি করেছে। চোর ধরে গ্রামের মানুষ মারধর করেছে।’ এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’