নাটুদাহের খলিশাগাড়ির নাহিদা গরীবের কুটিরে চাঁদের আলো

: এ প্লাস পেয়েও কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত

রতন বিশ্বাস: দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের খলিশাগাড়ির অদম্য মেধাবী নাহিদা খাতুন যেনো গরীবের জীর্ণ কুটিরে চাঁদের আলো। চরম দরিদ্রতা দমিয়ে রাখতে পারেনি তার মেধাকে। এ বছর দাখিল পরীক্ষায় সে জগন্নাথপুর দাখিল বালিকা মাদরাসা থেকে এ প্লাস পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। দিনমজুরি মো. আজিমুদ্দিনের কন্যা নাহিদা ঠিকমতো তিন বেলা খেতে, ভালো পোশাক ও প্রাইভেট পড়তে না পারলেও অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও নিরলস অধ্যাবসায় তাকে কৃতিত্বের এই সাফল্য এনে দিয়েছে। তবে কৃতিত্বের সাথে পাস করেও কলেজে ভর্তিসহ পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া তার অনিশ্চিত। নাহিদার বাবা একজন দিনমজুরি। অন্যের জমিতে দিন হাজিরায় কাজ করতে যাওয়া নিজের মেয়েকে আলোর পথে রখেছেন। যাতে তার জীবনে কোন অন্ধকার না আসে। শেষ সম্বল কোনোরকম মাথা গোঁজার ঠাঁই ৩ কাঠা জমিতে তাদের বসবাস। তাছাড়া কিছুই নেই তাদের। পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেও নাহিদার মনে এতটুকু স্বস্তি নেই। কারণ ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সার্মথ্য নেই তার। দারিদ্র্যতার সঙ্গে সংগ্রাম করা নাহিদা ভবিষ্যতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চাই। দুই সন্তানের জনক আজিমুদ্দিন ও গৃহিনী নার্গিস আরার মেয়ের এ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হলেও নাহিদার উচ্চশিক্ষার ব্যয়ভার বহন নিয়ে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তার সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানিয়েছেন তার পিতা আজিমুদ্দিন। তিনি জানান, মেয়েকে কোথায় ভর্তি করাবো এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মেয়েকে পড়ালেখা করাতে চাই। আমি ছোট থেকেই পরের জমিতে দিন হাজিরায় কাজ করি। জগন্নাথপুর দাখিল বালিকা মাদরাসার সভাপতি হাজি রমজান আলী মেম্বার জানান, নাহিদা খুব মেধাবী তার কৃতিত্বে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে এনেছে সে। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি। প্রতিষ্ঠানের সুপার মাও. মো. গাফফার আলী জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে একমাত্র জিপিএ ৫ তার। সে যেমন ভালো মেয়ে তেমনই মেধাবী।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More