স্টাফ রিপোর্টার: ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলা টাস্কফোর্স কমিটি এ সভার আয়োজন করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. আওলিয়ার রহমান। চুয়াডাঙ্গা জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বিএমএ’র সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রকাশক ও সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সিভিল সার্জন অফিসের জেলা স্যানেটারি ইনসপেক্টর গোলাম ফারুক। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধুমপানের কারণে মানুষের লিভার ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়। এর ফলে মানুষের ফুসফুসে ক্যান্সার হয়। তামাকজাতদ্রব্য তামাক, জর্দ্দা, গুল ব্যবহারে মানুষের মুখে ক্যান্সার হয়। এর ফলে দেশের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বেশীর ভাগ মানুষই ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহারকারী। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধুমপান মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধুমপানের আওতামুক্ত করতে হবে। প্রতিমাসে বিদ্যালয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ধুমপানের ক্ষতিকর বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। এজন্য শিক্ষা বিভাগকে চিঠি করে জানিয়ে দেয়া হবে। যাতে করে শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত ক্লাসে আলোচনা করতে পারেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২শ গজের মধ্যে কোন দোকানে বিড়ি সিগারেট বিক্রি করা যাবে না। এজন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। কোথাও কোনো অসংগতি দেখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ জন্য সকল সেক্টরকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।