নড়াইলের লোহাগড়ায় ধারের টাকা দেওয়ার কথা বলে ৩ জন মিলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক ফরবান মুন্সিকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুন ) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয। অদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের এক চাকরিজীবীর স্ত্রী তার কন্যা সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গত ৭/৮ মাস আগে প্রতিবেশী চাচাতো চাচাশ্বশুর ফরহাদ শেখকে ওই গৃহবধূ নগদ ২৩ হাজার টাকা ধার দেন। গত ২৫ জুন রাত ১১টার দিকে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই ধারের টাকা দেওয়ার নাম করে চাচা শ্বশুর ফরহাদ শেখ গৃহবধূর বাড়িতে এসে নাম ধরে ডাকতে থাকে এবং ধারের টাকা নেওয়ার জন্য দরজা খুলতে বলে। এ সময় গৃহবধূ দরজা খুলতেই চাচা শ্বশুর ফরহাদ শেখসহ ফরবান মুন্সি ও ইমাম হুসাইন মুখ চেপে ধরে রান্না ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চাচাশ্বশুর পাংখারচর গ্রামের দবির শেখের ছেলে ফরহাদ শেখ, একই গ্রামের তৌহিদ মুন্সির ছেলে ফরবান মুন্সি এবং গোপালগঞ্জ জেলার কুশলি গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে ইমাম হুসাইনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় সোমবার রাতে মামলা দায়ের করেন।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, আসামি ফরবানকে গ্রেফথার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ