লকডাউনে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রাণ গেলো ১৪ ভারতীয় শ্রমিকের
মাথাভাঙ্গা মনিটর: করোনা ভাইরাস লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুটি ভিন্ন দুর্ঘটনায় ভারতে কমপক্ষে ১৪ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মহারাষ্ট্রে আটকে পড়া ৭০ জন শ্রমিক পায়ে হেঁটে উত্তরপ্রদেশের দিকে যাচ্ছিলেন। গত বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে একটি বাস চাপা দিলে ওই শ্রমিকদের মধ্যে আটজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫৪ জন। এ দুর্ঘটনার বিষয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “একটি বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মহারাষ্ট্রের মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা”। আরেকটি দুর্ঘটনায়, উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরপুরে রাজ্য সরকারের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে পাঞ্জাব থেকে হেঁটে বিহারের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই শ্রমিকরা। এ ঘটনায় চালক পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিগত কয়েকদিনে লকডাউনের কারণে ভারতে বহু শ্রমিক হেঁটে বাড়ির পথ ধরেছেন। গত সপ্তাহে ভারতের মহারাষ্ট্রে ২০ জন শ্রমিক বাড়ি ফেরার পথে
ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।
নাইজারে বোকো হারামের ৭৫ জঙ্গি নিহত
মাথাভাঙ্গা মনিটর: আফ্রিকার দেশ নাইজার ও নাইজেরিয়ায় এক যৌথ সামরিক অভিযানে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের অন্তত ৭৫ সদস্য নিহত হয়েছে। গত সোমবার আঞ্চলিক নাইজারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাহেল রাজ্যে কোমাদোগু নদীর তীরবর্তী এলাকায় বোকো হারামবিরোধী এ অভিযান চালানো হয়। জানা গেছে, নিহত ৭৫ বোকো হারাম সদস্যদের মধ্যে নাইজারের দিফা শহরের ২৫ ও নাইজেরিয়ার ৫০ জন। নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার দেশটি দিফা শহরের ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এক সামরিক অভিযানে ২৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এ অভিযানে অংশ নেয়া দুই সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার নাইজেরিয়ার লেকচাদ এলাকায় বিমান থেকে জঙ্গিদের ওপর গোলাবর্ষণ করে ৫০ জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে। বোমা নিক্ষেপে বোকো হারাম জঙ্গিদের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে সন্তান প্রসবের পর ১৬০ কিলোমিটার হাঁটলেন এই মা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। আর এতে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেখানকার শ্রমিকরা। কাজ না থাকায় ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে হেঁটেই বাড়ি ফিরছেন অনেক শ্রমিক। অনেকে শ্রমিকই বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথেই মারা যাচ্ছেন বিভিন্ন দুর্ঘটনায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মাঝপথে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ভারতের এক নারী। সন্তান প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পর সদ্যজাত শিশুকে নিয়েই হাঁটা শুরু করে ১৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছেন তিনি। স্বামী এবং চার সন্তান নিয়ে মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকা থেকে মধ্যপ্রদেশের সাতনা এলাকায় যাচ্ছিলেন ওই নারী। তবে লকডাউনের কারণে কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। যেতে যেতে পথের মধ্যেই প্রসব বেদনা ওঠে ওই নারীর। পরে সেখানেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
সুটকেসে ঘুমন্ত শিশু টেনে নিয়ে চলেছেন মা : নিষ্ঠুর লকডাউন
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সামনে দীর্ঘ পথ চলা বাকি। কিন্তু ছোট্ট শরীর আর যে চলতে পারে না। পায়ে পায়ে জড়িয়ে ধরেছে ক্লান্তি। অগত্যা মায়ের হাতে ধরা সুটকেসের উপরে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। আর মা সেই চাকাওয়ালা সুটকেসে দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন দলের সঙ্গে। ভারী সুটকেস আরো ভারী হয়ে উঠেছে সন্তানের ভারে। তবুও টেনে নিয়ে প্রাণপণ গতিতে হাঁটতে হচ্ছে ওই নারীকে। কেননা পিছিয়ে পড়লে দলছুট হয়ে যেতে পারেন। ভারতে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থার আরও এক নিদারুণ করুণ ছবি ফুটে উঠলো এই দৃশ্যের মাধ্যমে। উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় একটি ছোট দলের অংশ ছিলেন এই নারী ও তার শিশু। কোথায় চলেছেন তারা? প্রশ্নের উত্তরে ওই মহিলা জানাচ্ছেন, ‘ঝাঁসি।’ দলটি হাঁটা শুরু করেছে পঞ্জাব থেকে। যেতে হবে ৮০০ কিলোমিটার দূরের ঝাঁসিতে।
দেশে ফিরলেন মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া ১৫৯ বাংলাদেশি
স্টাফ রিপোর্টার: মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া ১৫৯ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একই ফ্লাইটে এক বাংলাদেশির মরদেহও ছিলো। এসব বাংলাদেশিকে গত বুধবার দেশে ফিরিয়ে আনে গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিডি অ্যাসিস্ট। এতে সহায়তা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)। করোনা মহামারির কারণে মালয়েশিয়য় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার এটি প্রথম উদ্যোগ। চার্টার করা একটি ফ্লাইটে তাদের আনা হয়। মেডিকেল ট্যুরিজম ও স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনাকারী সংস্থা জিডি অ্যাসিস্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এর আগে গত মাসেও জিডি অ্যাসিস্টের সহযোগিতায় ব্যাংকক থেকেও ১৬০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। মালয়েশিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে আটকে পড়া ব্যক্তিরা দেশে ফেরত আসার জন্য সেখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে জিডি অ্যাসিস্ট তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পর্যাপ্ত নগদ টাকা রাখার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবার প্রতি ২৫০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টে দেয়া হবে। এজন্য মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলা ও টাকা লেনদেনের জন্য এজেন্টগুলোতে পর্যাপ্ত নগদ টাকা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী সব ব্যাংক বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। নগদ এই সহায়তা প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত সুবিধাভোগীর তালিকা মোতাবেক জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই পূর্বক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নগদ সহায়তা বিতরণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে এজেন্ট পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত নগদ টাকা রাখতে হবে।
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত
স্টাফ রিপোর্টার: সফলভাবে সকল পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্পন্ন করে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)-এর প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ করোনার এই পরিস্থিতিতেও বিসিপিসিএলের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। এসময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসময়ে সম্পন্ন করার অনুরোধ করেন। নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ( বাংলাদেশ) ও সিএমসি (চীন) এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালির পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট (২ ঢ ৬৬০ ) কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে। বাণিজ্যিক উদ্যোগে কয়লা চালিত আল্টা সুপার ক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে এটাই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসলো।
৬ জুন একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৬ জুন একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। প্রথম ধাপে ৬ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ৫ জুলাই প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-আর-রশিদ জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হলে আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা আমরা করেছি। এসএসসির ফল প্রকাশের পরপরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। জানা যায়, করোনার মধ্যে চলতি মাসেই এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। ঈদের আগে বা পরে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। আর এসএসসির ফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই একাদশে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।