জীবননগর ব্যুরো: বসতবাড়ির জন্য একখ- জমি কেনার স্বপ্ন বুনেছিলেন কাঁচামাল ব্যবসায়ী দুখু মিয়া। তিনি বিভিন্নভাবে তিলে তিলে জমিয়েছিলেন দেড় লাখ টাকা। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। জমি কেনা হলো না দুখুর। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে জমানো দেড় লাখ টাকাসহ তার বসতবাড়িটি ভস্মীভূত হয়েছে। পুড়ে ছাঁই হয়েছে ঘরের জামা-কাপড়, লেপ-তোষক ও আসবাবপত্রসহ খাদ্য সামগ্রী। এ অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে পরিবারটির। ফলে মানবেতর জীবন শুরু হয়েছে পরিবারটির। এ অবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবারটির প্রতি।
জানা যায়, বেনীপুর ঘোষপাড়ার মৃত ফকির চাঁদ ম-লের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী দুখু মিয়া জানান, তার জমি নেই। বসতবাড়ির জন্য একখ- জমি কিনতে তিনি টাকা জমাচ্ছিলেন। ব্যবসা থেকে ও গরু মোটাতাজা করে বিক্রিত লাভের অর্থ দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজারে। এ টাকা তিনি ঘরের শোকেসের মধ্যে রেখেছিলেন। শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় রোববার তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান। সাথে ছিলেন স্ত্রী। বাড়িতে মা ও শিশু সন্তানকে রেখে যান। মাটির দেওয়াল দেয়া এক রুমের টিনের ঘর তার। রাতের খাবার খেয়ে মা সালেহা খাতুন শিশু নাতি শিপনকে (১০) নিয়ে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে আগুনের ধোঁয়ায় সালেহা খাতুনের ঘুম ভাঙে। দেখেন ঘরে আগুন লেগেছে। চিৎকার, চেচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। কিন্তু ততক্ষণে তাদের আর কিছুই করার ছিলো না। আগুনের লেলিহান শিখায় ঘরে থাকা কাপড়-চোপড়, লেপ-তোষক, আসবাবপত্র ও খাদ্য খাবার সব পুঁড়ে ছাঁই হয়ে যায়। খবর পেয়ে দুখু মিয়া যশোর থেকে ছুটে আসেন। ঘরে ঢুকে দেখেন টাকা রক্ষিত শোকেসটি পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। সেই সাথে পুঁড়েছে জমি কেনার স্বপ্নও।
খবর পেয়ে গতকাল সোমবার ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দুখু মিয়ার হাতে তুলে দেন ১০ হাজার টাকা। সেই সাথে প্রতিশ্রুতি দেন দুইবান টিন দেয়ার।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ