স্টাফ রিপোর্টার: সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকলেও রাতে তা দ্রুততার সঙ্গে কমে যাচ্ছে। এই মরসুমে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে এক অঙ্কে। গতকাল শনিবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ব্যতিক্রমী এই আবহাওয়ায় খাপ খাইয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে এ জনপদের মানুষকে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ছিলো ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে, ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিলো ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ছিলো ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘আকাশে মেঘ না থাকায় দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি চলে আসায় তাপমাত্রা বাড়ছে। আবার রাতের বেলা তা দ্রুততার সঙ্গে কমে যাচ্ছে। তবে সাধারণভাবে শীত আসছে, এর প্রভাবেও রাতে শীত বাড়ছে। আর তেঁতুলিয়া হিমালয়ের কাছাকাছি, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই শীত বেশি থাকবে। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমাদের দেশের সব জায়গায়ই শীত বাড়বে।’ গতকাল সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
জানা যায়, উত্তরে হিমালয় কাছে হওয়ায় প্রতিবছরই পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ থাকে। গত ২০দিনে দেখা গেছে, দু-একদিন বাদে প্রতিদিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো পঞ্চগড়ে। দিনে তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠলেও বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রাও নামতে থাকে পাল্লা দিয়ে। সন্ধ্যার পর শুরু হয় কুয়াশা। রাতে তা আরও বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে উত্তরে হাওয়ায় তীব্র ঠা-া অনুভূত হয়। পঞ্চগড়ে রাতে কাঁথা, কম্বল ও লেপ জড়িয়ে ঘুমোতে হয়। সকালেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে চারপাশ। সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে সূর্যের দেখা মেলে। সূর্যের ঝলমলে আলোতে বাড়ির উঠোনে রোদ পোয়ানোর হিড়িক পড়ে। মিষ্টি রোদে চায়ের কাপে জমে যায় আড্ডা। শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নতুন ও পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-কাঁথার দোকানগুলোতেও। এদিকে শীতকালীন সবজির ব্যাপক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। পঞ্চগড় পরিবেশ পরিষদের সভাপতি তৌহিদুল বারী বাবু বলেন, ‘পঞ্চগড়ের এই শীতে এখানকার মানুষ চলাফেরা করতে অভ্যস্ত। দিনে গরম আর রাতে প্রচ- ঠা-া অনুভূত হচ্ছে। তবে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানকার মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেই প্রস্তুতিও সবার রাখতে হবে।’
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ