দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদায় ছেলে রিপনকে গুম করার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পিতা দামুড়হুদার চিৎলা নুতনপাড়ার মোস্তফা ম-ল ওরফে কিতাব আলী। অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছে দামুড়হুদা দেউলীর সাবেক মেম্বার মাবুদ ও নিখোঁজ রিপনের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সেতু খাতুনের দিকে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দামুড়হুদা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিতা মোস্তফা ম-ল উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে রিপন (৩০) ঢাকায় চুলের কাজ করতো। প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্সের পর আনুমানিক ১৩-১৪ মাস আগে সে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসে। ছেলে রিপন বাড়ি ফিরে এসে চাষাবাদ শুরু করে। আমরা ছেলেকে পুনরায় বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্রী দেখতে শুরু করি। এরই এক পর্যায়ে একই গ্রামের মর্জিনার মেয়ে সেতুর সাথে পরিচয় হয় ছেলে রিপনের। আমরা যখন ছেলে রিপনকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ঠিক সেই সময় দেউলী গ্রামের মাবুদ মেম্বার, মর্জিনার মেয়ে সেতু, সেতুর বোনের ছেলে সৌরভসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন আমার বাড়িতে এসে বলে, তোমার ছেলের সাথে সেতুর সর্ম্পক আছে। সেতুর পেটে বাচ্চা। তাকে সেতুর সাথে বিয়ে করতে হবে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে ওই বিয়েতে রাজি না হলে মাবুদ মেম্বার জোর করে আমার ছেলে রিপনের সাথে সেতুর বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে ছেলে রিপন সেতুদের বাড়িতেই থাকতো। বিয়ের দুই মাস পর ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে জানি না। সে বেঁচে আছে কী না তাও জানি না। এ সংক্রান্ত দামুড়হুদা মডেল থানায় জিডিও করা হয়। দীর্ঘ ৯ মাস পার হয়ে গেলেও আজও হদিস মেলেনি ছেলে রিপনের। আমার সন্দেহ মাবুদ মেম্বার ও সেতু যোগসাজস করে আমার ছেলেকে গুম করে ফেলেছে। মাবুদ একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। আর সেতু জঘন্য খারাপ একজন মেয়ে। এ পর্যন্ত সে ৭টি বিয়ে করেছে। কিছুদিন আগে লোকমুখে জানতে পারি সেতু আমার ছেলেকে তালাক দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত হাউলী গ্রামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। পরে জানা গেলো ওই ছেলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে মিমাংসা করেছে। জীবননাশের ভয়ে আমি এতদিন মুখ খুলতে পারিনি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন মুখ বুঝে সহ্য করবো। বাধ্য হয়েই আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার বিশ্বাস পুলিশ প্রশাসন যদি মাবুদ মেম্বার ও সেতুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়তো আমার ছেলের খোঁজ মিলতে পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।