দামুড়হুদা অফিসঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা জুড়ে চলমান লকডাউনের ৯ম দিনেও চেঁখে পড়েছে প্রশাসনের তৎপরতা। তবে রাতের আধারে মাইক্রোযোগে উপজেলা ত্যাগ করার সময় সীমান্তবর্তী এলাকার ৯জন চুল শ্রমিকরা ধরা পড়ে প্রশাসনের চেকপোস্টে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা দিয়ে তাদের কে ফিরে যেতে হয়েছে বাড়িতে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার ছিলো লকডাউনের ৯ম দিন। আর এদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক চেকপোস্ট বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় দন্ডবিধি ও সড়ক পরিবহন আইনে ৭টি মামলায় বিভিন্ন শ্রেণীর দন্ডিত ব্যক্তিদের কে ২৯হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দন্ডিত ব্যক্তিরা তাদের উপর অর্পিত জরিমানার টাকা নগদে পরিশোধ করে মুক্ত হয়।
এদিকে, গতকাল বুধবার রাতে এক ভিন্ন রকম চিত্র চোঁখে পড়ে। দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী এলাকা কুতুবপুর-জাহাজপোতা থেকে একটি মাইক্রো ভর্তি ৯জন যুবক (চুল শ্রমিক) দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে দৈউলী মোড়ে পৌঁছুলে প্রশাসনের চেকপোস্টে ধরা খায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জেরার মুখে সত্য বলতে বাধ্য হয় তারা। এবং অকপটে স্বীকারও করে তাদের অপরাধের কথা। আদালত তাদের কে জরিমানা করে বাড়িতে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন। দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহায়তা করেন দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা সহ থানা পুলিশের একাধিক টিম ও আনসার সদস্যরা। রাতের আধারে প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে চুল শ্রমিকদের কে দামুড়হুদা উপজেলা থেকে দিনাজপুর জেলায় প্রেরণকারী চুল ব্যবসায়ী জাহাজপোতা গ্রামের সহিদ হোসেন জানান, লকডাউন কাজ কর্ম না থাকায় আমি তাদের কে দিনাজপুর পাঠানোর ব্যবস্থা করি। তবে প্রশাসন যে এতোটা কঠোর অবস্থানে তা আমার জানা ছিলো না। আমার ভূল হয়েগেছে।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আজ থেকে বিনা প্রয়োজনে বাহির হলে বা একসাথে বসে আড্ডা দিলে কারাদণ্ড সহ বড় ধরণের আর্থিক জরিমানা করা হবে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ