হাবিবুর রহমান: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ব্লাকবেঙ্গল ছাগল পালন করে স্বচ্ছলতা পাচ্ছেন অনেকে। লাভজনক হওয়ায় ব্লাকবেঙ্গল (কালো জাতের) ছাগল পালনে ঝুঁকছেন অনেকে। চুয়াডাঙ্গা ও প¦ার্শবর্তী মেহেরপুর জেলায় ঘরে ঘরে চাষ হচ্ছে এই জাতের ছাগল। দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রেখে চলেছেন এই জাতের ছাগল বলে মনে করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। উপজেলায় প্রায় দুই লাখ এই জাতের ছাগল রয়েছে বলে জানান প্রাণিসম্পদ অফিস।
দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের আজিম বিশ্বাসের ছেলে দুই সন্তানের জনক মান্নান বলেন, তিনি ৩০-৩৫ বছর ধরে এই কালো জাতের ছাগল পালন করে সংসার চালাচ্ছেন। এর থেকে তিনি ছেলে সাইফুল ও মেয়ে ফুলমনিকে লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন। ছেলে বেশী লেখাপড়া না করলেও মেয়ে ঢাকায় মাস্টার্স পড়ছেন। এছাড়াও প্রতিবছর তিনি জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করেন। সম্প্রতি তিনি আড়াই লাখ টাকার ছাগল বিক্রি করে ৫ বিঘা জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। বর্তমানে তার ৩০টি কালো জাতের ছাগল রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি খাসি ও ২১টি বকরি। তিনি ছাগলগুলোকে শুধুমাত্র সকাল-বিকেল মাঠে নিয়ে খাওয়ান। বাড়তি কোন খাবার দেয়া হয় না। দীর্ঘদিন তিনি ছাগল পালন করলেও প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কোন ধরনের সহায়তা পান না বলেও জানান।
দামুড়হুদা প্রাণিসম্পদ অফিসার নিলিমা আক্তার বলেন, ব্লাকবেঙ্গল ছাগলের মাংস খুবই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্য সম্মত। আমাদের এই এলাকার আবহাওয়া ব্লাকবেঙ্গল ছাগল পালনের জন্য খুবই উপযোগী। এই জাতের ছাগলের রোগবালাই খুবই কম। শীত মৌসুমে একটু কেয়ার করে মাচা তৈরী করে উপরে রাখলে কোন রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয় না। প্রায় প্রতি বাড়িতে কম-বেশি এই জাতের ছাগল রয়েছে। নিয়মিত তাদের ছাগলের খোঁজখবর নেয়া হয় ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। ছাগল পালনে আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলাসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ায় এই কালো জাতের ছাগল আবাদ অনেক বেশী হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এদের অধিকাংশই ছাগল-গরু পালন করে থাকে। এই ছাগল ঘরে আটকিয়ে না রেখে পালন করা সম্ভব শুধুমাত্র ছেড়ে দিয়ে মাঠে খাইয়ে। এদের বাড়তি কোন খাবার না খাওয়ালেও চলে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.