নেই বিস্ফোরক লাইন্সেস ও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র
দামুড়হুদা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন দোকানে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের ছোট বড় এসব দোকানে অধিকাংশ বিক্রেতার নেই কোনো বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র। দামুড়হুদা উপজেলা সদর, দর্শনা, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়–লগাছি, লোকনাথপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসার সাথে অবৈধভাবে এলপি গ্যাস বিক্রি করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা দোকানে সামনে সড়কের ধারে সিলিন্ডার সাজিয়ে অবাধে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে। এছাড়াও অবৈধভাবে গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রেখেছে। হার্ডওয়ার, কোকারিজসহ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে গ্যাস সিলি-ার বিক্রি করা হয়ে থাকে। এ সকল দাহ্যপদার্থ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকা- থেকে রক্ষা পেতে নিজস্ব অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেই এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি।
দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দামুড়হুদা ক্রোকারিজ প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু হোসেন বলেন, দামুড়হুদা উপজেলা সদরে তার নিজেরসহ ২/৩ জনের বিস্ফোরক লাইন্সেস আছে। এছাড়াও ১০-১৫টি দোকানের কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এলপি গ্যাস বিক্রি করছেন। এছাড়াও উপজেলায় শতাধিক দোকানে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও কয়েকজন ছাড়া কারোর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। দামুড়হুদা বাজারের সৈকত অ্যালমুনিয়ামের মালিক শরিফ উদ্দীন বলেন, আমার কোনো লাইন্সেস নেই। দর্শনার ডিলারের নিকট অর্ডার দিলে তারা স্যালোইঞ্জিন চালিত যান আলমসাধুযোগে আমাদের ঘরে সিলিন্ডার পৌছে দেয়। তখন আমরা বিক্রি করি। কোথায় কীভাবে লাইন্সেস করতে হয় আমার জানা নেই। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর প্রয়োজন হয় না।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দীন বলেন, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। কয়েক দিন আগে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় তাদেরকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়েছে। আবারও অভিযান চালানো হবে। কেউ অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ফায়ার সার্ভিল ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুস ছালাম জানান, সকল গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক। গ্যাস দ্যাহ পদার্থ সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকানগুলোতে বিদ্যুতের শটসার্কিটসহ বিভিন্ন কারণে আগুন লাগতে পারে। তাই প্রাথমিকভাবে নিজেদের মালামাল রক্ষার্থে শুধু গ্যাস সিলিন্ডার নয় প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নিজেদের স্বার্থে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা উচিত। দূরের কোথাও আগুন লাগলে সেখানে পৌঁছাতে রাস্তা ঘাটে যানজটসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখলে প্রাথমিকভাবে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।